মোঃ নজরুল ইসলাম, মুরাদনগর কুমিল্লা, প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে সুমি আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর অপরাধের কারণে তাঁর স্বামী ও চার মাস বয়সী সন্তানকে থানা হাজতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে মুরাদনগর থানায় তাদের আটকে রাখেন ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিল। তবে ওসির দাবি, এমন কোনো ঘটনা থানায় ঘটেনি। পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, মুরাদনগর সদরের উত্তরপাড়া গ্রামের আবদুল মোতালেবের স্ত্রী সুমি আক্তার তাঁর ভাই দেলোয়ার হোসেনের এনজিও ঋণের জিম্মাদার হন। দেলোয়ার ঋণের কিস্তি না দেওয়ায় মামলায় জিম্মাদারকেও আসামি করে এনজিও কর্তৃপক্ষ। আদালতের পরোয়ানা পেয়ে সুমিকে গ্রেপ্তারে বাড়িতে যায় পুলিশ। তাঁকে না পেয়ে স্বামী আবদুল মোতালেবকে তুলে আনেন এসআই আলমগীর হোসেন। বিষয়টি জানতে পেরে সুমি চার মাসের সন্তান তোহাকে নিয়ে থানায় হাজির হন। এ সময় স্বামীকে ছেড়ে দিলেও মা-ছেলেকে রাতভর থানা হাজতে কাটাতে হয়।
আবদুল মোতালেবের অভিযোগ, অপরাধ করলে আমার স্ত্রী করেছে। তাঁর কারণে কেন অসুস্থ বলার পরও আমাকে ধরে নিয়ে থানায় চার ঘণ্টা আটকে রাখল। আমার মেয়ে তোহার কী অপরাধ? তাকে কেন রাতভর থানায় আটকে রাখা হলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ আসার খবরে সুমি আক্তার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ সময় তাঁর স্বামীকে নেশাগ্রস্ত মনে হওয়ায় ওসিকে জানালে তিনিই আবদুল মোতালেবকে থানায় আনতে বলেন। খবর পেয়ে স্ত্রী এলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মোতালেবকে হাজত নয়, থানার একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন। এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।