জীবনযাপন বাংলাদেশ

তামাক নিয়ন্ত্রণের গাইডলাইন কার্যকর করার দাবি

কাজী ফয়সাল আহমেদ:
তামাক নিয়ন্ত্রণের গাইডলাইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন। বুধবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।
তামাক বিরোধী সংগঠন গুলো হলো, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও এইড ফাউন্ডেশন।
এসময় বক্তারা বলেন, সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ তফসিল ১ ও ৫ অনুসারে স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ গাইডলাইন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই গাইডলাইন অনুসারে, তামাকজাত বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় এনে বিক্রয় সীমিতকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই গাইডলাইন বাতিলের জন্য তামাক কোম্পানীগুলি মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ তাদের প্রধানতম টার্গেট শিশু-কিশোর-যুবক। এদেরকে সিগারেটের নেশা ধরিয়ে দিতে পারলেই তাদের দীর্ঘ মেয়াদী ভোক্তা তৈরি হয়ে যায়।
তারা আরো বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণের গাইডলাইন কার্যকর থাকলে তামাক কোম্পানীগুলির প্রধান ডোক্তা তৈরি বাধাগ্রস্থ হবে। লাইসেন্স ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে একটি এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়কেন্দ্র বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি সীমিত করা সম্ভব হবে।
তাদের অভিযোগ করেন, তামাক কোম্পানি গুলো নীতিনির্ধারকদের বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তারা করে থাকে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করছে প্রতিনিয়তো। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। তাদের এই ধৃষ্টতা এক ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল।
এসময় বক্তারা, প্রধানমন্ত্রীর ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ ঘোষণা বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনের মাধ্যমে তামাক কোম্পানীর সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে  নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলে ধরার আহবায়ন জানান। এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান, তামাক কোম্পানীর কূটকৌশল বন্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *