জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের উপজেলা ভৈরবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলাসহ শীত কালিন সবজি। বীজ তলায় কুয়াশার ঠান্ডা পানি জমে বোরো ধানের চারাগাছগুলো মরে যাচ্ছে। কয়েকদিন যাবত তীব্র শীত আর কুয়াশায় জমিতে ঠান্ডা পানি জমে ধানের চারা , সরিষা ,মরিচ ও মাষঢাল গাছগুলোর বিরাট ক্ষতি হয়েছে। যেগুলো এখনো কিছু ভাল আছে সেগুলোও মরে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে ভৈরব উপজোর কৃষকরা বোরো বীজতলা নিয়ে আছেন চরম দুশ্চিন্তায়। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারনে বীজতলায় থাকা ধানের চারা গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর চারাগুলো ভালো আছে সেগুলোও নষ্টের পথে। রাত দিন কুয়াশার পানিতে ভিজতে থাকায় চারা গাছগুলো আর বড় হচ্ছে না। পাশাপাশি সরিষা , মরিচ, মাষঢাল ও মরিচসহ শীতকালিন সবজি গাছগুলোও মরে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। বোরো ধানের চারাগুলো হলদেচে হয়ে আছে যা নষ্ট হয়ে যাবার আগাম ইঙ্গিত করছে। মরিচ গাছগুলো কুকড়ে যাচ্ছে। অনেক গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। মাস ঢালেরও একই রকম অবস্থা। অনেক জমিতে মাষ ঢালেও পাতা গুলো হলদেছে হয়ে আছে। অনেক গাছ মরে গেছে। যাও কিছ তাজা দেখাচ্ছে তাও আবার কুকড়ে আছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকমের শীত কালিন সবজিগাছগুলোরও একই অবস্থা। এমতাবস্থায় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আগামী দিনে তাদের চাষাবাদ নিয়ে। কৃষকরা আশা করেছিলেন আর কদিন বাদেই বীজ তলা থেকে চারা তুলে বোরো ধান রোপন করবে। তা আর হচ্ছেনা চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায়। অপরদিকে সরিষা, মরিচ, মাষঢালসহ অন্যান্য সবজি ঘরে তুলার আগ মুহুর্তে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক লোকশানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। অনেকেই ধার দেনা করে চাষাবাদ করেছেন। অপর দিকে আমন মৌশুমে ধানের সঠিক মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ে এমনিতেই ঋণ গ্রস্থ হয়ে আছেন। আগামী দিনগুলোতে পরিবারের ভরন পোষন ও ধারদেনা পরিশোধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অত্র অঞ্চলের চাষিরা।
কৃষকরা জানায়, এই শীতে আমাদের বীজতলাসহ শীতকালিন সবজি মরিচ, মাষঢাল, সরিষাসহ বিভিন্ন রকমের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চারা সংকটে সামনে বোরো মৌশুমে এবার বোরোধান চাষ করতে পারবনা। অপরদিকে জমিতে কুয়াশায় ঠান্ডা পানি জমে সরিষা,মরিছ, মাসঢালের গাছগুলো মরে যাচ্ছে। যে গাছগুলো এখনো তরতাজা দেখাচ্ছে সেগুলোরও অধিকাংশ গাছ হলদেছে রংয়ের হয়ে যাচ্ছে। মরিছ এবং মাষ ডাল গাছে ফলনও এসেছে । আর কয়দিন পরই ফলন তুলার সময় অথছ এ সময়ে ফসলের মার খাওয়ায় চাষাবাদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।
ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো ঃ আলম শরীফ খান বলেন, প্রচন্ড শীতে কুয়াশার কারণে অনেক জমির বোরো বীজতলা, সরিষা,মরিচ ও মাষঢালে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ঠান্ডা চলে গেলে এবং কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকরা সেভাবে কাজ করলে ক্ষতির কিছুটা লাঘব হতে পারে।