বিশেষ প্রতিনিধি, কাজি ফয়সাল আহমেদ : কুমিল্লার ঘটনার দায় সরকারের উল্লেখ করে সাবেক ভিবি নূরল হক নূর বলেন, ক্ষমতায় থাকতে তার (সরকার) নিত্য নতুন ইস্যু তৈরি করে। কুমিল্লার ঘটনা পুলিশ যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, চাঁদপুরে মিছিলে কোন সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তো না।
বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও চলমান সংঘাত-সহিংসতায় জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের মানববন্ধন ও মৌন মিছিলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক নাগরিকেরই মিছিল-মিটিং করার অধিকার রয়েছে পুলিশ কেন সেই মিছিলে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি উসকে দিল। চাঁদপুরের প্রশাসনকে এ দায়িত্ব নিতে হবে। কুমিল্লায় ৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কেন আসলো না এর জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে। ধারাবাহিক পরিকল্পনার ফলে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে এবং চার দিনের ঘটনায় প্রশাসন এবং সরকার নীরব থেকেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এতদিন ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। এখন গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের বীজ যখন বোপন করছিলো তখন তারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করে বিশ্ববাসীর সহ বাংলাদেশের দৃষ্টিক অন্যদিকে সরিয়ে দিচ্ছে। কোন হিন্দু মুসলমান হামলা করে নাই। হামলা করেছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা। ওবায়দুল কাদের সাহেবের দায় এড়িয়ে তাকে বলতেছেন সাম্প্রদায়িক অপশক্তি।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই ভিপি বলেন,
আমাদের মূল ইস্যু থেকে সরে গেলে চলবে না এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সংকট থেকে উত্তরণের পথ একটাই তা হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র আইনের শাসন ফিরিয়ে আনা। তার জন্য একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে’ এই সরকারকে। তাই আজকের জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের সকল সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের বলবো আগামীর নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
নূর দাবি জানায়, সরকারকে বলতে চাই আপনার করেছেন না কারা করেছেন তার অপবাদ দিতে চাই না, একটা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটন করতে হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডা: কিবরিয়া রেজা সহ যুব পরিষদ এর নেতাকর্মীরা।