রাজনীতিতে সমর্পিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের বড় সময় কেটেছে জেলখানায়। কারাগারে বসেও বঙ্গবন্ধু দেশের কথা ভাবতেন। কারাগারের ভেতরে বা বাইরের যেসব ঘটনা তাঁকে আলোড়িত করত, সে সম্পর্কে তিনি অকপটে তাঁর মতামত প্রকাশ করতেন। এজন্য নানা অভিযোগে বহুবার বিনা বিচারে কারাবরণ করতে হয়েছে তাঁকে। পরে আইনি লড়াই করেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি।
১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত নানা অভিযোগে মামলা, কারাভোগ ও এসবের বিরুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আইনি লড়াই নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি লড়াই ১৯৩৮-১৯৬৩’ নামে বই লিখেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান।
আজ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২ নং হল রুমে বিকেল সাড়ে ৪টায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বইটির মোড়ক উন্মোচন করবেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এ বিষয়ে বইটির লেখক অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রয়েছে এক অন্য রকম আইনি লড়াই! পাকিস্তানের শুরু থেকেই রাজনৈতিক কারনে তার বিরুদ্ধে দায়ের হতে থাকে একের পর এক মামলা! এমনকি পাকিস্তানের ২৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিনা বিচারে আটক রাখা হয় বঙ্গবন্ধুকে!
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী আরো বলেন, ব্যতিক্রমী এ লড়াই নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি লড়াই ১৯৩৮-১৯৬৩’ বইটি লিখেছি। বঙ্গবন্ধুকে আরো বেশি করে জানবার জন্য সবাই বইটি পড়বেন বলে আশা করি।
বইটিতে বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান আন্দোলন, মামলা বৃত্তান্ত, মামলার ইতিহাস, বিনা বিচারে আটক, অভিযোগের বৈশিষ্ট্যসমূহ ও ফলাফল, শেখ মুজিবের আইনজীবীরা, দশ আইনজীবীর সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে। বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।