Featured বিশেষ প্রতিবেদন

সূর্যমুখী চাষে কৃষকের মুখে হাসি

পাবেল মৃধা, বিশেষ প্রতিনিধি:

ভৈরব উপজেলা সাদেকপুর ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়ে খুশি চাষী মজিবুর রহমান ।ভৈরব উপজেলা সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে সূর্যমুখী চাষ করেছেন মজিবুর রহমান নামের এক কৃষক।

মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী। কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অপার।

বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের সমারোহে মেতে উঠেছে ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মাঠগুলো। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় কৃষক সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এতে উৎসাহিত হয়ে উঠছেন মৌটুপী গ্রামের আরো কৃষকরা।

জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ফুটে থাকা হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমাহারে এক নয়ন জুরানো দৃশ্য । চারদিকে হলুদ রঙের ফুলের মনমাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছিরা ছুটছেন এক ফুল থেকে অন্য ফুলে তাতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মৌটুপী গ্রামের সামনের জমি। এটি যেন ফসলি জমি নয়, এ এক দৃষ্টিনন্দন বাগান।

এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকনে শুধু প্রকৃতিপ্রেমীই নয় বরং যে কারো হৃদয় কাড়বে। তবে সূর্যমুখী ফুল চাষের লক্ষ্য নিছক বিনোদন নয়। মূলত ভোজ্যতেল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা মেটাতে এ চাষ করা হচ্ছে।

ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই মৌটুপী উপজেলার মৌটুপী গ্রামে আসছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন। বর্তমানে একঘেয়েমি ধান চাষ করে কৃষকরা তেমন একটা লাভবান হচ্ছেন না। ধান চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় সেই টাকার ধান পাওয়া যায় না।

তাই অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়।

এছাড়া সূর্যমুখী ফুলের তেল অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তাই ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য এই তেল অন্যান্য তেলের চেয়ে অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্যসম্মত।

 

মৌটুপী গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। আমার সূর্যমুখী ফুলের জমি দেখার জন্য দূরদূরান্ত লোকজন ছুটে আসছে। বিকেল বেলায় অনেকে লোকজন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেখতে আসেন এ সূর্যমুখী ফুলের জমি, জমির পাশে ছবি তুলেন সময় কাটান অনেকেই। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! শুনছি এটি খুবই লাভজনক একটি ফসল।

ইতোমধ্যেই প্রতিটি গাছেই ফুল ধরেছে। আশা করি সূর্যমুখী চাষে সফলতা আসবে। লাভবান হতে পারব ইনশাআল্লাহ। কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে ধানের পরিবর্তে আগামী বছর আরও জমি বাড়িয়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে দেখে এলাকার অনেক কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *