অপরাধ

সিলেট থেকে আন্তর্জাতীক মানব পাচারকারি র‍্যাবের হাতে আটক


জয়নাল আবেদীন রিটনঃ
তুরস্ক, ইটালী,গ্রিস মালয়েশিয়া,কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জাল পাসপোর্ট এবং ভিসা তৈরীর সাথে জড়িতে থাকার অভিযোগে মাসুম আহম্মেদ (৩১) নামে মানব পাচারকারিকে জাল পাাসপোর্টের ফটোকপি এবং জাল টার্কি ভিসায় ব্যবহৃতএ্যাম্ভুস সীল তৈরির মেশিনসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪,সিপিসি-৩ ভৈরব ক্যাম্প সদস্যগণ। আজ সোবার সকাল সাতটার সময় সিলেটের মজুমদারপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাসুম সিলেট সদরের মজুমদারপাড়ার মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে। গ্রেফতারের পর মাসুমের বাসায় তল্লাশি করে জাল পাসপোর্টেরে ফটোকপি এবং জাল টার্কি ভিসায় ব্যবহৃত এ্যাম্ভুস সীল তৈরির মেশিনসহ মানব পাচারে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকমের কাগজপত্রাদি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব ১৪ ভৈরব ক্যম্পের কোম্পানী অধিনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফি উদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের সংবাদ সন্মেলন করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়, প্যালেইস্টাইন এ্যাম্ভাসী কর্তৃক মাসুম আহমেদের বিরুদ্ধে তুরস্ক ক্যামেরুন,প্রভৃতি দেশে নকল পাসনপোর্ট বানিয়ে মানব পাচারের তথ্য জাতীয় নিরাপত্ত্বা গোয়েন্দা সংস্থার নিকট আসে। উক্ত অভিযোগের প্রক্ষিতে মাসুদ আহমেদকেদীর্ঘদিন যাবত র‌্যাব এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক নিবিড় পর্যবেক্ষনে প্রাথমিক সত্যতার প্রমান পায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে রজাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ও র‌্যাব ১৪ ভৈরব ক্যাম্প সদস্যগণ মাছুমকে সিলেটের মজুমদারপাড়া থেকে আজ সকাল সাতটার সময় গ্রেফতার করে। আটককৃত মাসুমের বিরুদ্ধে সংশি।লষ্ট থানায় মামলাদায়ের করা হবে বলেও জানায় র‌্যাব।

তিনি আরো জানান, মাছুম আহমেদ বাংলাদেশ, তার্কি, ক্যামেরুনে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশের নকল পাসপোর্ট তৈরি করেন। মাছুম স্প্যানিশ পাসপোর্ট বানিয়ে ২০০০/ইউরো করে বিক্রি করতো। মাছুম বিভিন্ন দেশের ভিসার নকল স্টিকার বানিয়ে ভূয়া ভিসা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মানবপাচার করে থাকেন। এ ছাড়াও মাছুম আহমেদ সাধারণত জার্মান, নিউজিল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া, ইটালী, গ্রিস, মালয়েশিয়া, কানাডা মানবপাচার করে থাকে। এসব যাত্রীদেরকে নেপাল, তার্কি, দুবাই, দিল্লী, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া দিয়ে পাঠিয়ে থাকেন। মানব পাচারে জড়িত মাসুমের সহযোগীরা হলো দেলোয়ার, মাহি, জুনেল, আল-আমিন ও আনোয়ার। সিলেটের জিন্দাবাজারে ৩২, সিলেট মিলেনিয়াম নীচতলায় ‘আল-আমানাহ ইন্টারন্যাশনাল’ ভিসা প্রসেসিং সেন্টার এর চেয়ারম্যান ও সিও জুনেল আহমদকে দিয়েই মাছুম ভিসা সংক্রান্ত কাজ করে থাকেন । উল্লেখ্য জুনেল আহমেদ সিলেট মিলেনিয়াম শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ীক সমিতির কোষাধ্যক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *