সমাধান ডেস্ক: ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা ও প্রভাষক আফসার উদ্দীনের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে।
নুসরাতের মৃত্যুর পরপরই এই দুই শিক্ষকের এমপিও স্থগিতের পদক্ষেপ নিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ১১ এপ্রিল চিঠি পাঠানো হয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে। তার ১৯ দিন পর রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা এবং ইংরেজির প্রভাষক আফসার উদ্দীনেরও এমপিও স্থগিতের কথা জানানো হয়।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সংক্রান্ত এক নথি অনুমোদন করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানী ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলার (ইনডেক্স নং ৩০৪১১১) এমপিও স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া নুসরাতকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক আফসার উদ্দীনের (ইনডেক্স নং ২০৩০৫০৮) এমপিও স্থগিত করা হয়েছে।’
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর অনুচ্ছেদ -১৮ এর উপানুচ্ছেদ ১৮.১, ১৮.২ এর আলোকে তাদের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
এর আগে মাদ্রসারা অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাফিকে চাপ দেয় তারা। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া রাফিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত জাহান রাফি মারা যায়।
নুসরাত হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলা এবং প্রভাষক আফসার উদ্দিন বর্তমানে কারাগারে আছেন।