জাতীয়

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬ বার কেন ৬০০ বার অর্ডার হলেও উচ্ছেদ হবে না

কাজী ফরিদ আহম্মেদ : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি স্থাপনা উচ্ছেদে মেয়র সহ নির্বাহী কর্মকর্তা ৬ বার আদেশ দিলেও সম্পত্তি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা বিষয়টিকে কোন রকম পাত্তা দিচ্ছেন না কেন?
তা জানতে হলে বিষয়টির আরোও গভীরে যেতে হবে বলে আমাদের গোপন সংবাদ দাতা জানিয়েছেন।
জানা যায় ৫ ই মার্চ ২০০৯ ইং তারিখে মোঃ সহিদুল ইসলাম, পিতা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমান। মৌজা রমনা, সিট নং- ৪, ওয়ার্ড নং-৩, দাগ নং- এস, এ- ১১৯২, পরিমান কমবেশী দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট- প্রস্থ ৭ ফুট পুরানা পল্টন ১৪ ও ২১/২ হোল্ডিংয়ের মাঝখানে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পরিত্যক্ত খালী জায়গা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের নামে ইজারা/বরাদ্দ পাওয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বরাবর আবেদনটি করেন। যাহাতে রাশেদ খান মেনন, মাননীয় সংসদ সদস্য বিষয়টি বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাহী কর্মকর্তাকে মন্ত্রণালয়ে দাখিল কৃত আবেদন পত্রটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি পত্র দেন যাহার স্বারক নং- পত্র সংখ্যাঃ- মু. বি. ম / প্রশা- ২/ মুক্তিঃ/ বিবিধ / আর্থিক /সাহায্য/১৮৯৩ তারিখ – ২৬ এপ্রিল -২০০৯। বিষয়ঃ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পরিত্যক্ত খালী জায়গা ইজারা/ বরাদ্দ প্রদানের আবেদন প্রসঙ্গে। এই খান থেকে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মোঃ সহিদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এই পরিত্যক্ত সম্পত্তিটি চাওয়ার পর নড়ে চড়ে বসে সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা গোপনে ২০১৩ সালে ইজারার নামে উক্ত সম্পত্তি এক হোটেল মালিকের নিকট গোপন চুক্তির ভিত্তিতে ভাড়া দিয়ে দেয়। তারা ত্রিশ লাখ টাকা এডভ্যান্স নেয় ও মাসিক ৫০.০০০/= ( পঞ্চাশ হাজার) মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে জমিটি হোটেল মালিককে বুঝিয়ে দেয় বলে আমাদের গোপন সংবাদাতা জানিয়েছেন। তা নাহলে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপটেন এ.বি. এম তাজুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, ও এম পি রাশেদ খান মেনন তারা কয়েকবার সিটি কর্পোরেশনকে সুপারিশ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে উক্ত ভুমিটি লিজ দেয়ার জন্য।
কিন্তু সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা সহ কেহই বিষয়টিকে আমলে নিচ্ছেন না। এমন কি মেয়র ও নির্বাহী কর্মকর্তা ৬ বার উহা উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা উহাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।এর কারন খুজতে গিয়ে জানা যায় যত বারই উচ্ছেদের আদেশ হয় ততবারই হোটেল মালিক সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের লাখ লাখ টাকা দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ করেন। ফলে বিষয়টি সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের অবৈধ আয়ের একটি উৎস পরিনত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানিয়েছে হোটেল মালিক বর্তমান সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের ২৫ লাখ টাকা দিয়েছে যাতে উক্ত স্থানে কোন রকম উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না হয়। আপনারা শুধু দেখবেন উচ্ছেদের অর্ডার হচ্ছে কিন্তুু উচ্ছেদ হচ্ছে না। ৬ বার কেন ৬০০বার অর্ডার হলেও এই জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *