জাতীয়

কৃষকের ভাগ্যে নাড়া, দাদন আর এনজিও’র টাকা পরিশোধে বিক্রি হচ্ছে ধান

নূরুন্নবী ভূঁইয়া, সংবাদদাতা কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ): 
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দাদন আর এনজিও’র টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে কৃষকদের জমির সমস্ত ধান বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। যার ফলে চলতি বোর মৌসুমে ধান কাটা প্রায় শেষ হয়ে গেলেও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছেনা কৃষকদের। এক দিকে নাম মাত্র মূল্য অন্যদিকে মহাজনের টাকা শোধ করতে গিয়ে কৃষক জমির আগাম ধান বিক্রি করে দিচ্ছে। সরকারী খাদ্য গুদামে ধান কেনায় বিলম্ব ও ব্যাবসায়ীদের সিন্ডিকেটের ফলে কৃষক দিশেহারা। কৃষক ইকবাল, রুবেল, সাইফুল, মোবারক, আবুচাঁন, শাফায়েত বলেন, সরকারী খাদ্য গুদামে যখন ধান কেনা শুরু হবে তখন কৃষকের ঘরে আর কোন ধান থাকেনা। পরে ব্যাবসায়ীদের কেনা ধান কৃষকের নামে চলে যাবে সরকারী খাদ্য গুদামে। উপজেলাটিতে মণ প্রতি ধানের মূল্য ৪০০-৪৫০ টাকা। একজন কৃষককে দৈনিক ধান কাটার মজুরি দিতে হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষক ধান কাটা শ্রমিকের মজুরী পরিশোধ করতে গিয়েও বিক্রি করছে জমির ধান। এ ছাড়া মহাজনদের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কৃষক স্বল্প মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এনজিও’র নিয়মিত কিস্তির চাপেও কৃষক তার উৎপাদিক বোর ধান ঘরে রাখতে পারছেনা। তাই বোর মৌসুমের শেষ দিকে শতকরা ৮০ শতাংশ কৃষকের কাছে ধান থাকেনা, থাকে নাড়া।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ বছর ৬৪২৫ হেক্টর জমিতে চলতি বোর মৌসুমে আবাদ হয়েছে। গত বছর ৬৩৫৫ হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ করা হয়েছিলো। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭০ হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ বেশি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *