ঈদ আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবস রোববার সকাল ঢাকার রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল আর সদরঘাট লঞ্চঘাটে দেখা গেছে ফিরতি পথের যাত্রীদের ভিড়।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লঞ্চের যাত্রীদের যাত্রা স্বস্তির হলেও বাসে রওনা হওয়া যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে জটে পড়ে ঢাকা পৌঁছাচ্ছেন কয়েক ঘণ্টা দেরিতে। রেলের সূচিতে গড়বড়ের কারণে ট্রেনের যাত্রীদেরও ভুগতে হচ্ছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আমাদের প্রতিবেদক ওবায়দুর মাসুম, গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে জয়ন্ত সাহা এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কামাল তালুকদার জানাচ্ছেন সকালের পরিস্থিতি।
রেল স্টেশন
রোববার সকালে কমলাপুর স্টেশনে আসা সব কটি ট্রেনেই ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। আর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে আসা ট্রেনের যাত্রীদের চোখেমুখে ছিল ক্লান্তি আর বিরক্তির ছাপ।
ঈদের আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটের অধিকাংশ ট্রেন কয়েক ঘণ্টা করে দেরিতে ছাড়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল। ফেরার পথেও তাদের একই অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে কমলাপুর আসার কথা থাকলেও পৌঁছেছে তিন ঘণ্টা ৫০ মিনিট দেরি করে বেলা ৮টা ৪০ মিনিটে। খুলনার সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৫টা ৪০ মিনিটের বদলে স্টেশনে পৌঁছেছে সকাল সাড়ে ৮টায়।
চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ১০ মিনিটে আসার কথা ছিল; প্রায় ছয় ঘণ্টা দেরিতে বেলা ১টায় ট্রেনটি স্টেশনে আসে।
এই ট্রেনে ঢাকায় আসা সোহেল রানা বলেন, শনিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে নীলসাগর এক্সপ্রেসের চিলাহাটি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেড়েছে রাত ২টায়।
“ছাড়ছে দেরিতে। আর পথেও বিভিন্ন স্টেশনে দেরি করছে। সকালে যখন নামার কথা তার ছয় ঘণ্টা পরে নামলাম।”
একই অবস্থা দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের। ট্রেনটি ঢাকা পৌঁছানোর কথা ছিল সকাল ৮টা ১০ মিনিটে, আর পৌঁছেলে একটা ২০ মিনিটে।
একতায় ঢাকা ফেরা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, “রাত ১১টায় ট্রেন ছাড়ার কথা, ছাড়তেই রাত সাড়ে ৩টা বাজিয়েছে। একে তো ট্রেন লেট তার ওপর প্রচণ্ড ভিড়। বাচ্চাদের নিয়ে কি যে কষ্ট করতে হয়েছে তা বোঝানো যাবে না। ”
এই বিলম্বের কারণে এক দিকে রাতের ট্রেনের যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে, অন্যদিকে অনেকেই সময়মত ঢাকা পৌঁছাতে না পেরে ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে ঠিকমত অফিস ধরতে পারেননি।
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, যাত্রীদের ‘অতিরিক্ত চাপে’ ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছে; বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন ঢাকা পৌঁছেছে।
“প্রতিটি স্টেশন থেকেই প্রচুর যাত্রী উঠছে। ফলে ট্রেন সময়মত ছাড়তে পারছে না। আবার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ট্রেনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে না। এ কারণে ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।”
রোববার সারাদিনে মোট ৬৭টি ট্রেন ঢাকা আসার কথা রয়েছে। আর ঢাকা ছেড়ে যাবে ৬৬টি ট্রেন।
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে আসে এগারসিন্ধুর প্রভাতী ট্রেন। আধা ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছানো ট্রেনটি ছিল যাত্রীতে পূর্ণ।
এই ট্রেনে কুলিয়ারচর থেকে আসা ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা মো. ডালিম হোসেন জানান, দেরি যা হয়েছে, তার চেয়ে ভিড়ের মধ্যে ভোগান্তি হয়েছে অনেক বেশি।
“ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে আসলাম। দুজনের জন্য দুটো টিকেট কিনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পেয়েছি একটা। ছেলেকে সিটে বসিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে এসেছি। এত ভিড়, অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।”
টিকেট না কাটা লোকজনের কারণে টিকেটওয়ালা যাত্রীদের ভোগান্তি বেশি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই ট্রেনে আসা আশরাফুল আলম।
“টিকেট না কিনে লোকজন কীভাবে ট্রেনে ওঠে বুঝি না। তারা টিকেটওয়ালা যাত্রীদের সিটে বসে পড়ে। ওঠাতে গেলে ঝামেলা করে। আজ অনেকের সঙ্গে এরকম ঝামেলা হয়েছে।”
রাজধানীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস মেয়ের শ্বশুরবাড়ি নীলফামারী যাবেন। সকাল ৮টার নীলসাগর এক্সপ্রেস ধরতে মেয়ে আর নাতনীকে নিয়ে সকাল ৭টায় কমলাপুর এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বেলা ১২টা পর্যন্ত সেই ট্রেন স্টেশনেই আসেনি।
আবদুল কুদ্দুস বলেন, “এক ঘণ্টা দেরি হলে সেটাও মানা যায়। তাই বলে আটটার ট্রেন ১২টার সময়ও আসবে না? রেলওয়ের লোকজন তো দেখি উন্নয়ন উন্নয়ন বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। কিন্তু ট্রেন সময়মতো ছাড়তে পারে না।”
লঞ্চঘাট
বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) এবিএস মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা ৮১টি লঞ্চ সকালে ঢাকা সদরঘাটে ভিড়েছে। প্রতিটি লঞ্চেই ভিড় ছিল, তবে তা উপচে পড়া ভিড় বলা যাবে না।
“রোববার থেকে অফিস ধরার জন্য অনেকে শনিবারই ঢাকায় ফিরেছেন, আবার যারা বাড়তি ছুটি নিয়েছেন, তাদের অনেকে রোববার সন্ধ্যায় বা সোমবার সকালে ফিরবেন।”
এমভি আওলাদ লঞ্চের মহাব্যবস্থাপক মো. মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন, পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা তাদের আওলাদ -৭ রোববার ভোরে সদরঘাটে পৌঁছেছে।
“যাত্রী মোটামুটি ছিল। আশা করছি আগামীকাল আরও বেশি যাত্রী আসবে।”
পটুয়াখালী থেকে আসা রাকির হাসান জানান, তিনি গুলশান পুলিশ প্লাজায় যে মোবাইল ফোনের দোকানে চাকরি করেন, সেটি খুলবে সোমবার। তবে ভিড়ের ভয়ে একদিন আগেই তিনি এসেছেন।
চাঁদপুর থেকে ঢাকায় আসা হাসান ল্যাবএইড হাসপাতালের মিরপুর শাখায় কাজ করেন। রফরফ-৭ লঞ্চে চড়ে রোববার সকালে ঢাকায় পৌঁছে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি।
হাসান বলেন, “কেবিনে, ডেকে যাত্রী ছিল। তবে যাওয়ার সময় যেমন চাপ থাকে, ফেরার সময় অত ছিল না।”
এমভি ফারহান লঞ্চের এক কর্মচারী বলেন,“ প্রতি বছর এমনই হয়। অফিস খুললেও পুরো সপ্তাহ ধরে যাত্রী আসতে থাকে। যাওয়ার সময় ঈদের দুইদিন আগে যাত্রীর যে চাপ সদরঘাটে দেখেন, ফেরার সময় ওইরকম দেখবেন না।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান বলেন, “যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে আমরা নিরাপত্তার সব ব্যবস্থাই করেছি।”
বাস টার্মিনাল
নাব্য সংকটে কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়া বাসযাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, ওই রুটে শনিবার রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর রোববার ভোরে আটটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হয়। কিন্তু ১০টি ফেরি বন্ধ থাকায় বেলা ১২টা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পদ্মার দুই তীরে আটকে আছ প্রায় সাড়ে চারশ যানবাহন।
ঘাট কর্তৃপক্ষ চালকদের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করার পরামর্শও দিলেও গাড়ির চাপে সেখানেও জট তৈরি হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ফেরিঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বলে দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা পৌঁছাচ্ছেন সম্ভাব্য সময়ের বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে।
ঢাকার গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাওয়া রুটে নাব্য সংকটের কারণে চাপ পড়েছে দৌলতদিয়ায়। গতকাল (শনিবার) রাতে যে গাড়িগুলো দক্ষিণবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসেছিল, সেগুলো সব এখনও গাবতলী পৌঁছাতে পারে নাই।”
গাবতলীর বিভিন্ন কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ ততটা না থাকলে রোববার সকালে বেশ ভিড় ছিল।
দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলো থেকে আসা অধিকাংশ বাসের টিকে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল আগেই। আর এমনিতে যেসব বাস ‘লোকা ‘ হিসেবে চলে, সেগুলোও ‘ সিটিং’ হিসেবে ঢাকার পথে চলাচল করছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন।
গাবতলীর ঈগল কাউন্টারের কর্মী নাঈমুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার রাতে দক্ষিণবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা তাদের পরিবহনের ৪০টি বাস সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে মাত্র ১২টি।
পটুয়াখালী থেকে সাকুরা পরিবহনের বাসে ঢাকায় ফেরা মাঈদুল ইসলাম বলেন, “ঘাটে প্রচণ্ড জ্যাম। তারপর সিরিয়াল ব্রেক করে বাস, ট্রাক সব এলোপাতাড়ি ঢুকাচ্ছে। রাত ২টায় দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে উঠতে ভোর সাড়ে ৫টায়।”
আরএম পরিবহনের যাত্রী মাসুদ পারভেজ জানান, তিনি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘাটে পৌঁছালেও তার বাস ফেরিতে ওঠে সাড়ে সাত ঘণ্টা পর।
ফেরিঘাটের পাশাপাশি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পারাপারের লঞ্চ ও নৌকাগুলোতেও যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ দেখার কথা বলেন মাসুদ।
হানিফ পরিবহনের চালক শুভ বলেন, “এত জ্যাম আছিল ঘাটে…. আমার বাসের অর্ধেক যাত্রী নাইম্যা গেছিল। কইছিল, নৌকায় পার হইব। সকালে তাদের অফিস ধরা লাগবে…।”
টেকনিক্যাল মোড়ে সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার কাজী আব্দুল খালেক জানান, শনিবার রাতে বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা তাদের ১৪টি গাড়ি বেলা ১১টার মধ্যে গাবতলী চলে আসার কথা ছিল। কিন্তু ততক্ষণে মাত্র দুটি বাস পৌঁছেছে।
ওই সময় পর্যন্ত দর্শনা রুটের পূর্বাশা পরিবহনের ১০টি গাড়ির মধ্যে তিনটি, মাগুরার রয়েল পরিবহনের ছয়টি বাসের একটি, বরিশাল রুটের শ্যামলী পরিবহনের ১৪টি গাড়ির মধ্যে তিনটি, পিরোজপুরের সেবা- গ্রিন লাইনের ১০টির মধ্যে মাত্র দুটি, বরিশালের সার্বিক-সুরভীর ১০টির মধ্যে তিনটি, খুলনা রুটের সোহাগ পরিবহনের আটটি বাসের দুটি গাবতলীতে পৌঁছায়।
আর পিরোজপুর থেকে রওনা হওয়া কমফোর্ট পরিবহনের ছয়টি গাড়ির কোনোটিই বেলা ১১টার মধে ঢাকা আসতে পারেনি।
তবে উত্তর জনপদের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা বাসে চড়ে শনিবার রাতে বা রোববার ভোরে রওনা হয়েছেন, তারা মোটামুটি স্বস্তিতেই ঢাকায় পৌঁছেছেন।
ঠাকুরগাঁও থেকে আসা নাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার নয়ন হোসেন জানান, ঢাকার পথে আসতে কোথাও বড় কোনো যানজটে পড়েনি হয়নি তাকে।
ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর থেকে শনিবার রাতে ছেড়ে আসা সব বাসই সকালে যথাসময়ে পৌঁছে গেছে বলে জানান মাজার রোডে এনার কাউন্টারের ব্যবস্থাপক জুয়েল রানা।
একই কথা শোনা যায় বগুড়ার অরিন, পাবনার সরকার, শাহজাদপুর ট্রাভেলস, নওগাঁর বরেন্দ্র পরিবহন, নাটোরের তুহিন এলিট, দিনাজপুরের রোজিনা, ডিপজল পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপকদের মুখে।
সরকার ট্রাভেলসের একজন ব্যবস্থাপক জানান, পাবনা থেকে ছেড়ে আসা তাদের ছয়টি বাস সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে গাবতলী চলে এসেছে। পথে কোথাও বড় যানজটে পড়তে হয়নি।
অবশ্য ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা এসেছেন, তাদের গাজীপুরের কোনাপাড়া, জয়দেবপুর চৌরাস্তা, টঙ্গী রেলগেইট এলাকায় কিছুটা জট পেরিয়ে আসতে হয়েছে বলে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আজ সকালে যে গাড়িগুলো আসছে, তাতে যাত্রী ছিল প্রচুর। সড়কে যানজট বাড়বে সন্ধ্যায়।”
সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। তাদের ঢাকায় ফিরতে অতিরিক্ত বাস পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।