মোঃ নজরুল ইসলাম,মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে জুয়েলারী দোকান থেকে চুরি হওয়া ৯ভরি স্বর্ণালংকার ২৪ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। এসময় চুরির সাথে জড়িত এক নারী সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ভোররাতে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার গুনিয়ারচর গ্রাম থেকে স্বর্ণ উদ্ধার ও আসামীকে আটক করে পুলিশ। এসময় নগদ ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামী রুনা আক্তার সামিরা ওরফে ফাতেমা (২২) হোমনা উপজেলার ছোট গুনিয়ারচর গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে।
জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের নিপুন জুয়েলার্স থেকে রবিবার দুপুরে ক্রেতার ছদ্মবেশে এক নারী চোর সদস্য গলার চেইন, হাতের বালা, কানের দুল, আংটিসহ ৯ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি করে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে দোকানের মালিক নিপুন বণিক বিষয়টি টেরপেয়ে মুরাদনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দিনদুপুরে দোকান থেকে স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ পেয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল দ্রুত টিম গঠন করে বিভিন্নস্থানে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। এতে সফলতাও আসে অল্প সময়ের মধ্যে। মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন ও এসআই ওমর ফারুকের নেতৃত্বে পুলিশ বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ২৪ঘন্টা পর হওয়ার আগেই রবিবার ভোররাতে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার গুনিয়ারচর গ্রাম থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার নগদ ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার ও আসামী রুনা আক্তার সামিরা ওরফে ফাতেমাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এদিকে ঘটনার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতার হওয়ায় থানা পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরে এসেছে জুয়েলারী ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ী নিপুন বণিক বলেন, চুরির ঘটনায় আমি একদম ভেঙ্গে পড়ে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বর্ণ উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতার করার আমি স্বস্থি পেয়েছি। পুলিশের প্রতি ব্যবসায়ীদের আস্থা অনেকগুন বেড়েছে।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে মালামাল উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারে সক্ষম হই। সোমবার দুপুরে মামলা দায়ের করে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় মুরাদনগর থানা পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।