মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৮ গুণিজনকে সম্মাননা প্রদান করেছে এনটিভি দর্শক ফোরাম, ভৈরব।
আজ রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি তৃতীয়বারের মতো সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন-শিক্ষা বিস্তারে হাজী আসমত আলী (মরণোত্তর) ও অধ্যক্ষ মুয়াজ্জম হোসাইন (মরণোত্তর)। সমাজ উন্নয়নে আব্দুর রহমান কালা মিয়া (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবদুল মতিন (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়সুল আলম (মরণোত্তর)। সাহিত্য ও শিশু সংগঠক অধ্যাপক আতাউর রহমান, সাংবাদিকতায় আসাদুজ্জামন ফারুক ও কর্মসংস্থান তৈরিতে মুর্শেদ আলম সরকার।
কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভৈরব প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম বাকী বিল্লাহ, শিশু সংগঠক অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ।
এর আগে সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আত্মজীবনী ও বিভিন্ন ব্যক্তির স্মৃতিমূলক লেখা নিয়ে প্রকাশিত বিশেষ ক্রোড়পত্র “গুণিজন” এর মোড়ক উন্মোচন করেন ভৈরব পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ ইফতেখার হোসেন বেনু।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল-চেয়ারম্যান ও এনটিভি দর্শক ফোরাম, ভৈরবের উপদেষ্টা জাকির হোসেন কাজলের সভাপতিত্বে ও এনটিভি দর্শক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক মো. শরীফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ।
অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক, মো. মজিবুর রহমান, অধ্যাপক লুবনা হক, উপাধ্যক্ষ মুকিত হোসাইন আকাশ, ফাহমিদা আলম লিফা প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন বলেন, বর্তমান সমাজে এক শ্রেণির লুটেরা আর দুর্বৃত্তদের আভির্ভাব হয়েছে। তারা দুর্বলের উপর চড়াও হয়ে সর্বস্ব লুটে নিতে সচেষ্ট থাকে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আর এরজন্য চাই ভালো মানুষদের একতা।
আমাদের মনে রাখতে হবে, দুর্বৃত্তরা যতোই শক্তিশালী হোক না কেনো, তারা মানসিকভাবে দুর্বল। আমাদের একতাকে ওরা ভয় পায়। তাই তারা আমাদের একতা বিনষ্টে সব সময় কূটকৌশল করতে থাকে। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না।
সমাজের দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের প্রতিটি অপরাধ, অপকর্ম লেখনির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। আর শিক্ষকসহ সমাজের অন্যান্য পেশার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাজ হবে ভালো কাজের পক্ষে, অন্যান্যের বিরুদ্ধে জনমত গড়া তোলা। তবে একদিন সমাজ ও দেশ অন্যায়মুক্ত হবে।