আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই হাঁটুর ওপর বসে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন লেডি পেরেজ। বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরা ছয় বছরের সন্তানটি কাতর চোখে চেয়ে ছিল কাঁধের অত্যাধুনিক অস্ত্রটি নিচু করে রাখা সেনাটির চেহারা দিকে। ছোট্ট শিশুটি যেন কাঠিন্যেভরা সেনাটিকে বলতে চাইছে, ‘আমাদেরকে একটু যেতে দাও।’ অবশ্য মায়ের কান্না কিংবা শিশুর কাতর দৃষ্টি কোনোটিই মন গলাতে পারে নি সেনাটির।
এক হাজার ৫০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গুয়াতেমালা থেকে আসা পেরেজ আর কয়েক কদম এগুলেই হয়তো প্রবেশ করতে পারতেন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু মেক্সিকো সীমান্তের সিউদাদ জুয়ারেজ শহরে দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের এক সেনা পেরেজকে আটকে দেওয়ায় তার সব ক্লান্তি আর হতাশা যেন বাঁধভাঙ্গা কান্না হয়ে বুকে ঠেলে বেরিয়ে এলো। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের চিত্রগ্রাহক হোসে লুইস গঞ্জালেজের তোলা কয়েকটি ছবিট পশ্চিমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে আসা যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসীদের ঠেকাতে মেক্সিকোর ন্যাশনাল গার্ডের ভূমিকা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতিকে আবারও কড়া সমালোচনার মুখে ফেলেছে এই ছবিগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা বলেছেন, ‘ওই নারী সীমান্ত পার হওয়ার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। তিনি তার সন্তান অ্যান্থনি দিয়াজের উন্নত জীবনের জন্য সীমান্ত পার হতে চান বলে জানাচ্ছিলেন। চিত্রগ্রাহক হোসে লুইস গঞ্জালেজ জানান, ৯ মিনিট ধরে সেনাটির সঙ্গে বাদানুবাদ করেছেন লেডি পেরেজ। অবশ্য এই সময় সেনাটি তার সঙ্গে কোনো ধরণের উগ্র আচরণ করেন নি। সেনাটি কেবল এতোটুকু জানিয়েছেন যে, তিনি কেবল আদেশ পালন করছেন।