মোশারফ হোসেন শ্যমল: কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ছোট পুকুরপাড় গ্রাম থেকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী চায়না বেগমকে জুঁয়া খেলা অবস্থায় আজ শুক্রবার ১০ মে, বিকেল আনুমানিক সাড়ে চার সময় চায়নাকে এলাকার মতি মিয়ার বাড়ি থেকে ভৈরব থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে থানা থেকে রোজার দোহাই দিয়ে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পায় বলে জানায় পুলিশ। সে মাদক ব্যবসায়ী সনি মিয়ার স্ত্রী। স্বামী স্ত্রী উভয়ের নামে ভৈরবসহ পার্শ¦বর্তী বিভিন্ন থানায় মিলিয়ে ১০-১২টি মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানিয়রা জানায়, চায়নাসহ তার ভাই বোনদের অনেকেই মাদক ব্যবসায় জড়িত। চায়নাসহ বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মহিলা প্রতিদিনই কোন না কোন বাড়িতে বসে তাস দিয়ে কাটাকাটি বলে আখ্যায়িত এক ধরণের জুঁয়া খেলে থাকে। এ খেলায় তারা প্রতিদিন বিশ পঞ্চাশ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকার জুঁয়াও খেলে থাকে তারা।
পৌর কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজু বলেন, চায়না বেগমসহ তার অন্য ভাই বোনরাও মাদক ব্যবসায় জড়িত। এরা দীর্ঘদিন যাবত এলাকাতে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসেছে। পুলিশসহ স্থানীয়দের নিয়ে চায়না পরিবারের মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজ চায়নাকে জুয়াঁ খেলা থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে ছিল বলে লোক মূখে জানতে পেরেছি। কি কারণে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিল তা বলতে পারবনা। আমি জানলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় নেওয়ার চেষ্টা করতাম।
ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক মো ঃ আমজাদ হোসেনের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, খবর পেয়ে পুকুপাড় গ্রামে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দেখতে পাই চায়না বেগমসহ কয়েকজন মহিলা জুঁয়া খেলছে। আমাদের দেখে কয়েকজন মহিলা জুঁয়া খেলা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসম চায়না বেগমকে জুয়া খেলা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। থানায় আনার পর চায়না বেগম রোজা রেখেছে এবং আর কখনো জুয়াঁখেলবেনা মর্মে ক্ষমা চাইলে তাকে প্রাথমিক ভাবে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এর বাহিরে কিছু নয়।