নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্র বাঁচাতে প্রয়োজনে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পরিস্থিতি বুঝে ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। হোটেল র্যাডিসনে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন মোস্তাফা জব্বার।
সরকারের কাছে সবার আগে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা, এ কথা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতম স্বার্থ ত্যাগের মানসিকতা রাখতে হবে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আজ যদি আমি দেখি, ফেসবুক আমার রাষ্ট্রকে বিপন্ন করে ফেলেছে, সেক্ষেত্রে আমার রাষ্ট্র বাঁচাব নাকি ফেসবুক বাঁচাব? আমাকে অবশ্যই রাষ্ট্র বাঁচাতে হবে। সেজন্য যা করার তা আমাকে করতেই হবে।’
ভবিষ্যতে অন্য কোনো ইস্যু বা জাতীয় নির্বাচনে কি ইন্টারনেটের গতি কমানো হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে গত শনিবার (৪ আগস্ট) ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়। যা জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এরপর ওই দিন সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘণ্টা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিয়েছিল সরকার।
এদিকে, আগামী ৮ থেকে ১০ আগস্ট হোটেল র্যাডিসনে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম সংস্থার ১৮তম পলিসি এবং রেগুলেটরি ফোরাম। ওই তিন দিন থাকছে এ অঞ্চলের জন্য উচ্চপর্যায়ের টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত নীতিমালা, রেগুলেটরি ইস্যু নিয়ে আলোচনা।
এছাড়া, ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের জন্য টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সংক্রান্ত কৌশলপত্র প্রণয়নের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হবে। ডিজিটাল অর্থনীতিতে উদীয়মান প্রযুক্তির প্রবণতাসহ পলিসি, রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জ ও উদ্ভাবন বিষয়ে আলোকপাত করা হবে অনুষ্ঠানে।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) বিভিন্ন দেশের রেগুলেটর প্রধান, সংস্থা প্রধান, অপারেটর, টেলিকম ও আইসিটি এক্সপার্টসহ প্রায় ১৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন এতে।
আইটিইউ ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম সংস্থার (এপিটি) উদ্যোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) যৌথ আয়োজনে হচ্ছে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের পাঁচ দিনের এই দুটি সম্মেলন।
অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার প্রমুখ৷