অর্থনীতি আওয়ামীলীগ রাজনীতি

সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

সমাধান ডেস্ক: সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সাজার বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন আইনের অনুমোদনের কথা জানান।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের জেল ও অর্থদণ্ড। অর্থদণ্ডের পরিমাণ আদালত নির্ধারণ করবেন। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ আহত হলে কিংবা প্রাণহানি ঘটলে এই আইনে মামলা হবে।

তিনি আরো বলেন, তদন্তে দুর্ঘটনা যদি উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে ৩০২ ধারায় মামলা হবে। তদন্ত করে এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে দুর্ঘটনার প্রকৃতি কী ছিল। ৩০২ ধারায় মামলা হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। আর যদি তদন্তে মনে হয়, বেপরোয়া চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাহলে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৩ ধারায় মামলা হবে। এই ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।

সচিব বলেন, আইনের ধারা-৬ এ বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য বয়স হতে হবে ১৮ বছর। পেশাদার হলে বয়স হতে হবে ২১ বছর। এছাড়া লাইসেন্সধারী হতে চাইলে ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। আইনের ১১ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে একজন চালকের লাইসেন্সের বিপরীতে ১২টি পয়েন্ট থাকবে। একেবার অপরাধ করলে একটি করে পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হলে তার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। ১২ ধারায় বলা আছে, লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি শারীরিকভাবে অক্ষম, অপ্রকৃতিস্থ, মদ্যপ হলে তার লাইসেন্স প্রত্যাহার-স্থগিত করা যাবে।

এছাড়া খসড়া সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারকে সহায়তা দিতে একটি তহবিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এছাড়া যদি কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায় তবে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ এই অপরাধ করলে তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করা যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে ৩ মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

মোহাম্মাদ শফিউল আলম বলেন, কেউ যদি রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চালায়, তাহলে তাকে ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা অথদণ্ড দেওয়া যাবে। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। ফিটনেস না থাকা মটরযান চালালে শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে এ আইনে। শাস্তি পাবে গাড়ির মালিক। গাড়ির চেচিচ বা আকার আকৃতির পরিবর্তন করলে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা অথদণ্ড কিংবা উভয দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তবে কারাদণ্ড কখনই এক বছরের নিচে দেওয়া যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *