উপজেলা প্রতিনিধি, বেলাব: নরসিংদী বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের রাজারবাগ গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ত্রিশোর্দ্ধ বয়স্ক এক পাগল মহিলা,সে নিজের নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারেনা।এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানাযায় প্রায় পাঁচ বছর আগে দক্ষিন বটেশ্বর গ্রামের শিল্পি আক্তারের বাড়িতে বসবাস করতেন, পরে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে গেলে বছরে খানেক পর তার প্রসব ব্যাথা আরাম্ভ হলে পার্শ্ববতি রাজারবাগ গ্রামের সুরুজ মিয়ার বাড়িতে প্রথম সন্তান জন্ম দেয় ।
এর বছর খানেক পরে আবার ও গর্ভবতি হলে একই গ্রামের খসরু মিয়ার বাড়িতে আরেকটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন এই পাগল মহিলা ,কণ্যা সন্তান দুটিকে লালন পালনের জন্য সন্তানহীন দুইটি পরিবারে কাছে হস্তান্তর করেন এলাকাবাসী, বছর না পেরুতেই আবার ও প্রসব ব্যাথা আরাম্ভ হয় এবং হাজী মোঃ গোলাপ মিয়ার বাড়ির সামনে পোল্ট্রি ফার্মে তৃতীয় বারের মত আরেকটি মৃত কণ্যা সন্তান জন্ম দেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি এই উম্মাদ মহিলা। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্জল্য সৃষ্টি হয়, ঘৃনা ও ক্ষোপ বিরাজ করে জনমনে ,এর পর হতেই এই ঘৃন্য অপকর্মের সাথে কে বা কারা জড়িত তা উদঘাটনের লক্ষে পাগল মহিলাটির দিকে নজর রাখছে এলাকাবাসী, এরই ধারাবাহিকতায় মাস খানেক আগে ,একই গ্রামর আকাশ মিয়াকে রাত অনুমানিক দেড়টার দিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান পার্শ্ববতি যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম , তাৎক্ষনিক আকাশকে ধরে নিয়ে যান হাজী মোঃ গোলাপ মিয়ার বাড়িতে , গোলাপ মিয়া জানান রাত দেড়টার দিকে মৃত সামী ভূইয়া ছেলে মোঃ আকাশ মিয়াকে আমার বাড়িতে নিয়ে এলে আমি তাকে জিগাসাবাদ করি ,জিগাসাবাদে সে পাগলের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক্যের কথা স্বীকার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পাগলীর দায়ভার নিবে বলে জানান সে। আমি তাকে পরেরদিন স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে সমাধান হবে বলে জানাই তারপর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার মোঃ মোসলেহ উদ্দিন ,উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ,যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, হাজী মোঃ গোলাপ মিয়া ,হাজী আব্দুল ছাত্তার সহ এলাকাবাসী ঘটনার জড়িত এই নরপশুর দৃষ্ঠান্ত মূলক বিচারের জন্য সরকার এবং প্রশাসনের কাছে জোড় দাবী রাখে। এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ পরশ মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন জাহাঙ্গীর যে আকাশকে এ ঘটনায় আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে, জাহাঙ্গীর নিজেও যে এই অপকর্মের সাথে জড়িত নয় তার কি প্রমান আছে আপনাদের কাছে? এবং সাংবাদিকদের এঘটনা কারা করেছে খুজে বেড় করতে বলেন। জনমনে প্রশ্ন চেয়ারম্যানের নীজ গ্রামে প্রতি বছর এই পাগল মহিলাটি এক এক করে তিনটি কণ্যা সন্তান জন্ম দেন আর সমাজের দ্বায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা যদি বলেন সাংবাদিকদের খুজে বেড় করতে তাহলে জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের দ্বায়িত্ব কি একটুও নেই? এভাবেই পার পেয়ে যাবে অপরাধীরা ?
আর এই বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মহিলারা প্রতিনিয়তই এই নরপশুদের লালসার স্বীকার হবে? অন্য দিকে ঘটনার সর্ম্পক্যে জানতে অভিযুক্ত মোঃ আকাশ মিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে খুজে পাওয়া যায়নি ,কিন্তু তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন ,পাগলী আপনাদের কাছে বিচার দিয়েছে কিনা অথবা আপনারা পাগল মহিলার গার্ডিয়ান কিনা বলে উচ্চ বাক্য ব্যাবহার করেন এবং পাগলের কোন গার্ডিয়ান পাওয়া গেলে সে নিজেই বিয়ে করবে বলে জানান।