রাজু মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার:
ক্ষেতে ধান লাগানোর পরপরই পার্চিং (কঞ্চি বা ডাল স্থাপন) করতে হবে। কারণ ক্ষেতে পার্সিং বা কঞ্চি পুতে দিলে সেখানে পাখি বসে বিশ্রাম করে। বিশ্রামের ফাঁকে পাখি খাবার খোঁজে। পার্সিং দিলে মাজরা পোকা ডিম পারার আগেই পাখি তা খেয়ে ফেলে। এর ফলে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ হয় না। কীটনাশক-বিষও লাগে না। এক কাঠা জমিতে একটি কঞ্চি পুতলে দেশে প্রায় আড়াই শ’ কোটি টাকার কীটনাশক সাশ্রয় হবে। এতে আড়াই হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।
এসব কথা বললেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নরসিংদী বেলাব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নাজিম অর রউফ খান (বনি)। আজ বুধবার সকালে বেলাবরের কান্দায় ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের লক্ষে আয়োজিত পার্সিং উৎসবে তিনি কৃষকের ফসলী ক্ষেতে এমন তথ্য দেন।
এসময় জমির চাষী মোঃ তৈয়বালী হাসান (৪৫), হাসান উদ্দিন (৫০), কাউছার মিয়া (৪২), করিম উদ্দিন (৫৫) সহ অন্যান্য কৃষকগন বলেন, এ জেলার কৃষি কর্মকর্তারা প্রায় সময়ই আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
আমাদের ফসলী জমিতে বিভিন্ন মোকামাকড়ে ক্ষেত লাগানোর পরপরই ধানের গোচাতে পচন ধরে যায়।
ইতিমধ্যেই বেলাব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এসমস্ত রোগ জীবানু থেকে বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই আমরা কৃষকগন ক্ষতি থেকে কিছুটা বের হতে পেরেছি।
অপরদিকে একই কর্মসূচী পালন করেন শিবপুর, মনোহরদী, রায়পুরা, নরসিংদী সদর সহ প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে।
পার্চিং উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত উদ্ধুদ্ধকরণ অনুষ্ঠানে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হয় ও কৃষকদের মাঝে ফসলী কৃষি জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজি সহ ধান চাষ করার পরামর্ষ দেয়।
আলোচনা শেষে এই বেলাব এলাকায় প্রদক্ষিণ শেষে সেখানকার ধানের ক্ষেতে শত শত কৃষক পার্চিং স্থাপন করেন।