জীবনযাপন

ভৈরবে ছাদকৃষিতে হ্যাপী সরকারের সাফল্য

জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি ॥
কিশোরগঞে।জর ভৈরবে ছাদকৃষিতে সাফল্য এনেছেন গৃহিনী হ্যাপী সরকার। তিনি শহরের আইস কোম্পানী মোড়ের বিমান বিল্ডিংয়েংর মালিক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। এই ছাদ কৃষি থেকে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পাচ্ছেন নির্ভেজাল ও টাটকা শাক সবজি। যা স্বাস্থ্যের জন খুবই উপকারি। ৪ শতক যায়গার ওপর নির্মিত শহরের আইস কোম্পানীর মোড়ে স্বপ্ন কুঠির নামে ছয়তলা বিমান বিল্ডিয়ের ছাদে দেড় শতাধিত বিভিন্ন রকমের গাছ লাগিয়েছেন। এ ছাদ বাগান থেকে শাক সবজি ও ফল যেমন পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটায় পাশাপাশি শুন্দর শোভাষিত ফুলের শোভা বর্ধনে তেমনি পরিবারের লোকজন ভাল লাগারমত কিছুটা সময়ও কাটায়। বিভিন্ন রকমের রোগ বালাইয়ে অনেক সময় ঐষধি গাছও উপকারে আসে। এ চিন্তা মাথায় রেখে শাক সবজির পাশাপাশি বাগানে ঐষধি গাছও লাগিয়েছেন অনেক গৃহিনী। ছাদ বাগানে গৃহকর্তার সহযোগিতা ছাড়াও ছেলে মেয়েরাও মাকে বাগানের পরিচর্যায় সহযোগিতা করে থাকেন। শুস্থ থাকতে এবং টাটকা শাক সবজি খেতে বাগানে কোন কিট নাশক ব্যবহার করা হয়না। তার বাগানে রয়েছে ঢেরস,পুইশাক, বেগুন, দোন্দল,ওইস্তা, করলা,লাউ,মিষ্টি কোমড়া, মিষ্টি আলুসহ এলাচি গাছ, চাইনিজ পোলাও পাতা, লেবু , সুইট লেবু. পেপে, আনার, মাল্টা, চেরিফল, আম, পেয়ারা, বড়ই ,বাঙ্গি ও জামরুল। আরো রয়েছে হরেক রকমের ফুল ও ঐষধি গাছ। এসকল গাছ আবাদ করার ফলে হ্যাপি সরকারকে বাজার থেকে কোন কিছু নিতে হচ্ছেনা। এ ছাদ কৃষি থেকেই তিনি পরিবারের দৈনন্দিন শাক সবজির চাহিদা মেটাতে পারছেন।

গৃহকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহিনী প্রথমে এ ছাদ করার উদ্যোগ নেন। আমি তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এতে করে আমার সন্তানরা টাটকা শাক সবজি ও ফল খেতে পারছে। এই ছাদকৃষি করে আমি অনেকটা লাভবান। বাজার থেকে কিছু কিনতে হচ্ছেন। তাছাড়া ছেলে মেয়েরা এখন আর বাড়ির বাহিরে যায়না। পড়া লেখার অবসর সময়ে এ ছাদ বাগানে তারা সময় কাটায়।

গৃহিনী হ্যাপী সরকার , আমি ছাদ কৃষি করেছি আমার ছেলে মেয়েরা যাতে টাটকা ও নির্ভেজাল শাক সবজি ও ফলমুল খেতে পারে। এসব চাষ করার ফলে আমাকে এখন আর বাজার থেকে কোন কিছু কিনতে হয়না । ফরমালিন মুক্ত খাবারের জন্য আমি ছাদে শাক সবজি , ফল ও ঔষধি গাছ লাগিয়েছি। এখন আমি আমার চাহিদা অনুযায়ী সব কিছুই আমার লাগানো গাছ থেকেই পেয়ে থাকি। ছাদের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং আনন্দ পেতে আমি বিভিন্ন রকমের ফুল গাছও লাগিয়েছি। ফ’ল আমাদের আনন্দ দেয় আর গাছপালা দেয় নির্মল অক্সিজেন।

বাড়ির ভাড়াটিয়া লিছা বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত এ বাসায় আছি। গত বছরের জুন মাসে সে এই ছাদে বেশ কিছু ফল , ফুল ও ঔষধি গাছ লাগিয়েছে। এসব গাছগুলো লাগানোর ফলে তার বাচ্ছাদের ফরমালিন মুক্ত ও টাটকা শাক সবজি খাওয়াতে পারছে। ইচ্ছা করলে যাদের ছাদ খঅলি পড়ে আছে তাদের ছাদে এরকম একটা বাগান করতে পারে।

উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান বাবলু বলেন, আমি বলি এখনো যাদের বাড়ির ছাদ খালি পড়ে আছে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারও ছাদ বাগান বা ছাদ কৃষি করুন তাহলে এছাদ থেকে আমরা অক্সিজেন পাব, আর এই সবুজায়ন থেকে নির্বেজাল শাক সবজি ফলমুল আর ঐষধি গাছ ব্যবহার করতে পারব। তাই আসুন সবাই ছাদকৃষি করি সুস্থ থাকি ভাল থাকি ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো ঃ আলম শরীফ খান বলেন, পরিবারের খাবারে নির্ভেজাল সবজি পেতে বাসা বাড়ির ছাদ খালি না রেখে যদি ছাদে শাক সবজি চাষ করা যায় তাহলে পরিবারের দৈনন্দিন খাবারে শাক সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব। দিন দিন ছাদ বাগানের প্রতি গৃনিীদের মাঝে আগ্রহ দেখা দিয়েছে বেশি। আমরা কৃষি বিভিাগের পক্ষ থেকে তাদের বিন্নি রকম পরামর্শ সহ সার্বিক সহয়োগিতা করে যাচ্ছি। আমি বলব যার বিল্ডিংয়ে ছাদ খালি পড়ে আছে তারা যদি ছাদে শাক সবজি চাষ করে তাহলে পরিবারের পুযষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *