সিনিয়র প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রিয়া সাহা ইস্যুতে আমরা রয়ে-সয়ে অগ্রসর হচ্ছি। মশা মারতে আমরা কামানের ব্যবহার করতে চাই না। এসব বক্তব্য দেয়ার পেছনে অন্য কারো হাত আছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রিয়া সাহা যখন দেশে ফিরবেন, দেশের বিরুদ্ধে কী বলেছেন সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে দেয়া প্রিয়া সাহার বক্তব্যের বিচার প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিয়া সাহা ২০০১ সালে শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এ কথা বলেছেন-এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বক্তব্যে তো ৩ কোটি ৭০ লাখ লোকের মিসিং এর কথা নেই। শেখ হাসিনা তো এরকম কোনো কথা বলতে পারেন না। এটাতো আমার মনে হয়, প্রিয়া সাহা আমাদের দেশকে ছোট করেছে। এটা কাল্পনিক, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হবে। কী উদ্দেশ্যে, কোন ইনফরমেশনের ভিত্তিতে এবং কেনো তিনি একথা বলেছেন। এটা তাকে তো অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ এ ঘটনায় সারাদেশে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।’
শেখ হাসিনা মাইনোরিটির নির্যাতনের বিষয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটার সঙ্গে প্রিয়া সাহার বক্তব্যের সংখ্যাতত্ত্বের কোনো মিল নেই। দ্যাট ইজ ভেরি ইমপোরটেন্ট বলেও জানান তিনি।
প্রিয়া সাহার ইস্যুতে সরকার ব্যাকফুটে গেলো কিনা এমন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘না এটা ব্যাকফুটের কোনো বিষয় নয়। বিষয়টা হলো, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির বিষয়। প্রিয়া সাহা সামান্য কোনো ব্যাক্তি বলেও উড়িয়ে দেয়া যায় না।’
প্রিয়া সাহার স্বামী সরকারি চাকরিতে আছেন এ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘দেখুন ওনার স্বামী সরকারি চাকুরি করেন। এক পরিবারে স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানসহ সবাই থাকেন। এখন একজন অপরাধ করলে সবাই শাস্তি পাবেন এটাতো কোন কথা নয়।’