নিজস্ব প্রতিবেদক : এতরফা নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সরকারকে শূন্য মাঠে খেলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন প্রতিহতের দাঁতাভাঙা জবাব দেওয়া হবে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে সুস্পষ্টভাবে বলে রাখতে চাই, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আবারো একতরফা নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবেই। বেআইনি কাজ করে যাবেন একের পর এক, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেবেন, আর জনগণ বসে থাকবে, জনগণ আঙ্গুল চুষবে- এসব ভাবার কোনো কারণ নেই।’
‘জনগণ শূন্য মাঠে আর খেলতে দেবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে’, বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবরা যে একতরফা নির্বাচনের প্রস্ততি নিতে শুরু করেছেন তার আলামত তারা দেখাচ্ছেন দেশবরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে নিজ বাড়িতে কয়েক দিন অবরোধ করে রাখার পর গতকাল ঈদের দিনে তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে না দেওয়ার মাধ্যমে। তাকে জিয়ারত করতে দেয়নি তারা। তাহলে ভাবুন, আল্লাহর কাছে তার ছেলে বাবা-মায়ের রুহের মাগফেরাত চাইবেন এটাতেও তারা বাধা দিচ্ছে।’
‘এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনা মার্কা, ওবায়দুল কাদের মার্কা গণতন্ত্রের নমুনা। অর্থাৎ নির্বাক, নিঃশব্দ পরিবেশ থাকবে আর সেখানে তারা একতরফা নির্বাচন করবেন। আমরা বলে দিতে চাই, ভোটারবিহীন বাকশালী নির্বাচন ঠেকাতে জনগণের শক্তির বিপুল উদগীরণ হচ্ছে।’
ঈদের দিন গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তা মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বিঘ্নে নিজের বাড়িতে ঈদ করার জন্য নাকি সরকার সব কিছু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ডাহা মিথ্যাচার। ঈদের দিনেই সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য। এসব ঘটনা ঈদের খুশির দিনেও বাড়িতে বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ঈদ ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করার নমুনা।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নাজমুল হক নান্নু, আবদুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, এম এ মালেক, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।