সমাধান ডেস্ক: ভৈরব পৌর এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও পুলিশের কথিত সোর্স গোলাপ গংদের হামলায় আহত হয়েছেন ৩ ব্যাক্তি। ভোক্ত ভোগী আলামিন মিয়ার লিখিত অভিযোগে জানা যায় কালীপুর ১২ নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মৃত ইসমাঈল মিয়ার পুত্র গোলাপ মিয়া গং দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে যার ফলে যুব সমাজ বিপদগামী হচ্ছে।
মাদক কারবারী ও পুলিসের সোর্স গোলাপ
তাছাড়া গোলাপ পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যাসায়ীদের নিকট থেকে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে এবং মাদক ব্যাবসার বিরুদ্ধে কথা বললে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে আসছে এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সন্ধা অনুমান সারে সাতটায় কালীপুর উত্তর পাড়ার আওয়ামিলীগ কার্যালয়ের পিছনে,অভিযোগ কারী আলামিন মিয়ার ছোট ভাই তুষার মিয়া কে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে,আলামিন মিয়ার মা খোদেজা বেগম, তুষার মিয়াকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে গোলাপ ও তার সন্ত্রাসীরা ইট দিয়া আঘাত করে আলামিন মিয়ার মা খোদেজা বেগম কে ফোলা জখম করে,আলামিন মিয়ার ভাই জনি মিয়া তার মাকে গোলাপ গংদের হামলা থেকে বাচাঁতে এগিয়ে গোলাপ গং এর সন্ত্রাসীরা জনি মিয়াকে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিঠিয়ে মারাত্মক আহত করে, তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ইকবাল, বাতেন, মাসুদ সহ লোকজন এগিয়ে এলে গোলাপ গং এর সন্ত্রাসীরা প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। জখমীদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। উক্ত ঘটনার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল অনুমান ৮ টায় মাদক ব্যাবসায়ী গোলাপ এর সহযোগী সেলিম অভিযোগ কারী আলামিন মিয়ার চাচাত ভাই, ইমরান কে খুন করার উদ্দেশ্য রাম দা নিয় ধাওয়া করে, ইমরান কে বাচাঁতে তার খালাম্মা আন্না বেগম এগিয়ে এলে খুন করার উদ্দেশ্যে তার মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। মারাত্মক আহত হয়ে আন্না বেগম বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গোলাপ গং দের মাদক ব্যাবসা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাদাঁ বাজী বন্ধ করতে এলাকাবসী আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।