বিশেষ প্রতিবেদন

প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব  মো.জিল্লুর রহমানের ৯৪ তম জন্মদিন পালিত

মো: রফিকুল ইসলাম রুবেল,ভৈরব প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব   মো.জিল্লুর রহমানের ৯৪ তম জন্মদিন পালিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহচর, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশের অহিংস রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রয়াত আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন তিনি।জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ মার্চ বুধবার সকালে আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে ভৈরব উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা কেককাটা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে কেককাটেন ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ভৈরব প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু সাবেক রাষ্ট্রপতির এপি এস মোল্লা শাখাওয়াত হোসেন,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,এম,বাকি বিল্লাহ, পৌর আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: দ্বীন ইসলাম  কালিকাপ্রসাদ ইউ পি চেয়ারম্যান মো: লিটন মিয়া,  শ্রীনগর ইউ পি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ হারুন।এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-  উপজেলা যুবলীগের সদস্য সচিব অরুন আল আজাদ,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবলীগের, সাধারন সম্পাদন আফজাল হোসেন জামাল,পৌর স্বেচ্ছাসেবলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ খোকন, পৌর স্বেচ্ছাসেবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব রায়হান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমির হামজা সাধরান সম্পাদক মেহেদী হাসান রিয়াদ পৌর ছাত্রলীগ সাভাপতি ছালেম রহমান মিকদাত সাধারন সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমন প্রমুখ। ২০০৮ সালে জিল্লুর রহমান নবম জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক ২০১৩ সালের ২০ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন । জিল্লুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে তার পরিবারসহ দলের অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির ম্যধে পালিত হয়েছে।উল্লেখ্য, বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। তার বাবা মরহুম মেহের আলী মিয়া ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং জেলা বোর্ডের সদস্য। মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন। দেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম ও ক্রান্তিলগ্নে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। দল-মত নির্বিশেষে তিনি সবার কাছে সমভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। কিশোরগঞ্জের ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে তিনি ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।জিল্লুর রহমান ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার গঠন হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়া, স্বাধীনতার পর তিনি তিন বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় দলীয় সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে সেই সময় আওয়ামী লীগ নিশ্চিত ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়। জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তাদের একমাত্র ছেলে আলহাজ্ব  নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-র সভাপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *