বিশেষ প্রতিনিধি রাজু মিয়া ঃ
নরসিংদীর পলাশে অসহায় এক মহিলা নুরুল ইসলামকে উপকার করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে ৬ লাখ টাকা দিয়ে দিশেহারা পারভিন আক্তার। উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার গড়পাড়া গ্রামের রহমত উল্লাহর স্ত্রী ঋণগ্রস্থ অসহায় মহিলা পারভীন আক্তারকে নরগত নুরুল ইসলাম মিথ্যা প্রলোভন ও ছলতাচুরী করে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে এখন অস্বীকার করছে ।
শুধু তাই নয় অসহায় নারীদের খুঁজে বের করে সে বিভিন্ন সম্পর্ক তৈরী করে একাধিকবার তার সাথে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের টাকা চায় তার অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কথা বলে। এক পর্যায়ে টাকা হাসিল করার পর কিছুদিন যেতে না যেতেই তার কাছে যদি টাকা চাওয়া হয় মহিলার বিরুদ্ধে অসামাজিক ও মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে সুনাম নষ্ট করারও হুমকি প্রদান করে।
এভাবেই এই নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত ২৭ থেকে ৩৫ বছর মেয়েদের খুঁজে বের করে সম্পর্ক তৈরী করে সে। সম্পর্ক সাপ্তাহ খানেক পার হলেই বিভিন্ন শেয়ার হোল্ডারে শেয়ার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেও টাকা আত্নসাত করে।
এদিকে পারভীন আক্তার আজ বুধবার সংবাদকর্মী রুদ্রের অফিসে এসে অভিযোগ করে বলেন, বিগত সময় ধরে সে আমার স্বামীর কাছ থেকে মোবাইল ফোনসহ একাধিক জিনিস নিয়েও অস্বীকার করে।
আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এনজিওর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় সে। নরগত নুরুল ইসলাম আরও টাকা পাওয়ার আশায় বিভিন্ন কথা বলে নিয়ে যায় আরও ৪ লক্ষ টাকা।
এই টাকা চাইতে গেলেই নারী ধর্ষিতা নুরুল ইসলাম টাকা দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এদিকে সে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে এই নুরুল ইসলাম।
জানা যায়, ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বালুচর পাড়া নামক গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে নূরুল ইসলাম দীর্ঘ বছর যাবত মেয়েদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে টাকা আতœসাৎ করারও সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। পারভীন আক্তারের সরলতার সুযোগ নিয়ে নরগত নূরুল ইসলাম গত ১৪/৩/২০১৮ সালে পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি পলাশ শাখা নামক একটি এনজিউ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ তুলে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পারভিন আক্তার কোন উপায় না পেয়ে মান ইজ্জতের ভয়ে ও ছেলে সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নরসিংদী কোর্টে একটি চেক জালিয়াতির মামলা করেছেন তিনি। মামলাটি রুজু করেন আইনজীবী এড. হান্নান।
এভাবেই যদি এসমস্ত নারীদের ফাঁদে ফেলে নরগত নুরুল ইসলাম এর মত দুষ্ট প্রকৃতির লোকেরা তবে নারীরা কোন প্রান্তে গিয়ে দাঁড়াবে। তাই এখনই এসমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।