ক্রীড়া ডেস্ক : হুয়েস্কা ন্যু ক্যাম্পে খেলতে এসে আট গোল খাবে না, তা কি হয়! ২০১৪-১৫ মৌসুমে কোপা দেল রের ম্যাচে বার্সেলোনার ঘরের মাঠে ৮-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা। সেই ম্যাচের পর গতকাল প্রথমবার ন্যু ক্যাম্পে খেলতে এলো হুয়েস্কা, যারা প্রথমবারের মতো লা লিগায় উঠে এসেছে। এবারও তাদেরকে গুনে গুনে ঠিক আট গোলই ‘উপহার’ দিল বার্সেলোনা।
কাতালানরা ঘরের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও হুয়েস্কাকে ৮-২ গোলে হারিয়েছে। তাতে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল লিগে শতভাগ জয়ের ধারাও অক্ষুন্ন রেখেছে, জিতেছে প্রথম তিন ম্যাচেই। এবারের লা লিগায় বার্সা ছাড়া প্রথম তিন ম্যাচ জিতেছে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াল জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল শনিবার লেগানেসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে লিগের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকার কথাই হয়ত ভেবেছিল তারা। কিন্তু বার্সা যে আট গোল করে গোলপার্থক্যে তাদের টপকে শীর্ষে উঠে যাবে, তা কি আর ভেবেছিল!
বার্সার গোল-উৎসবের নেতৃত্ব দিয়েছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা করেছেন দুই গোল। শুধু গোলই করেননি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন দুই গোল। হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন। কিন্তু যোগ করা সময়ে মেসি নিজে পেনাল্টি না নিয়ে সুয়ারেজের হাতে বল তুলে দেন তাকে দ্বিতীয় গোল করার জন্য।
মেসি ও সুয়ারেজের জোড়া গোলের সঙ্গে একটি করে গোল পেয়েছেন উসমান ডেম্বেলে, ইভান রাকিটিচ ও জর্দি আলবা। অন্য গোলটা হুয়েস্কার হোর্হে পুলিদোর আত্মঘাতী। হুয়েস্কার হয়ে একটি করে গোল করেন হার্নান্দেজ ও অ্যালেক্স গায়ার।
ন্যু ক্যাম্পে তিন বছর আগের দুঃস্বপ্ন ভুলতে গতকাল হুয়েস্কার শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতোই। বার্সা সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই হার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। সেই আনন্দটা অবশ্য বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি অতিথিরা। ১৬ মিনিটেই বার্সাকে সমতায় ফেরান মেসি। রাকিটিচের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে হুয়েস্কার জালে বল জড়ান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
২৪ মিনিটে বার্সা এগিয়ে যায় অতিথিদের সৌজন্যে। আলবার নিচু ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন হুয়েস্কার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পুলিদো। ৩৯ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করে ফেলেন সুয়ারেজ। ৪২ মিনিটে অবশ্য হুয়েস্কার হয়ে ব্যবধান কমান গায়ার।
দ্বিতীয়ার্ধে আর পেরে ওঠেনি হুয়েস্কা। ৪৮ মিনিটে সুয়ারেজের পাস থেকে মৌসুমে নিজের তৃতীয় গোল করেন ডেম্বেলে। ৫২ মিনিটে মেসির বাড়ানো বল থেকে দলের পঞ্চম গোলটি করেন রাকিটিচ।
৬১ মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করেন মেসি। পাল্টা-আক্রমণে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। এই গোলেই মেসির হ্যাটট্রিক হয়ে যেতে পারত যদি না ৪৭ মিনিটে তার শটটা পোস্টে লেগে ফিরত!
৮১ মিনিটে মেসির পাস থেকে বার্সার সাত নম্বর গোলটি করেন আলবা। যোগ করা সময়ে ডি বক্সে সুয়ারেজকে উয়েস্কার গোলরক্ষক ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দিয়েছিলেন। আর পেনাল্টি থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সুয়ারেজ।