নিজস্ব প্রতিবেক: ভৈরব
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার সাদেকপুর হতে মৌটুপীর রাস্তায় মিলন ভূইয়ার পতিত বাড়ীর নিকটবর্তী রাস্তায় গত ১১-০৯-১৮ ইং সকাল ১০.৩০ টায় দুর্বৃত্তদের শর্টগানের গুলিতে ইউ.পি সদস্য মান্নান খান আহত হন। স্বজনরা আহত অবস্থায় মান্নানকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শেষে চারদিন পর বাসায় ফিরে আসেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঐ এলাকার ফজলুল হক মাস্টারের সমর্থকরা মান্নান মেম্বরকে শর্টগান দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে মান্নান মেম্বারসহ তার ঘনিষ্টজন আক্রাম হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট তৎসময়ে অভিযোগ করেন। যাহা বিভিন্ন অনলাইন নিউজে প্রকাশিত হয়। ঘটনার ৬দিন পর মান্নান খান নিজে বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ৩৭(৯) ১৮নং ধারা ৩৪১,৩৪৬,৩০৭,১১৪/৩৪ দঃবিঃ একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ১৩জনকে আসামী করা হয়। জখমী ও বাদী মান্নান খান রসুলপুর গ্রামের তার প্রতিপক্ষের ৩টি হত্যা মামলার আসামী হয়ে দীর্ঘদিন হাজতবাস করেন। মান্নান খান তার দায়েরকৃত উক্ত মামলায় তাদের প্রতিপক্ষের বাহিরে বিশেষ করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জুল হককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা আসামী করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী অনেকেই এই প্রতিবেদককে জানান। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ মান্নান খানের আপন মামাত ভাই হন। সেই সুবাদে চেয়ারম্যান সাফায়েতের কথায় ও প্রতিহিংসা বসত সমাজে তোফাজ্জুল হক চেয়ারম্যানের সুনাম নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ও তাহাকে ঘায়েল করার হীন মানসিকতায় উক্ত মামলায় তাকে মিথ্যা আসামী করা হয় বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। এলাকাবাসী আরো জানান জনাব মান্নান খানের সাথে তোফাজ্জল হকের কোন বিরোধ বা অতীত মামলা মোকদ্দমা নাই। শুধুমাত্র বর্তমান চেয়ারম্যান সাফায়েতকে খুশি রাখার জন্য তার কথামত সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জুল হককে উল্লেখিত মামলায় মিথ্যাভাবে আসামী করা হয়েছে বলে এলাকার সকল স্তরের জনমনে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে এবং সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। এই ব্যপারে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছে।