আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পুয়ের্তো রিকোতে হারিকেন মারিয়ার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছিল ২ হাজার ৯৭৫ জন। দ্বীপটির কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওই দ্বীপ ভূখণ্ডে ধ্বংসাত্মক মারিয়ার আঘাতের পর পুয়ের্তো রিকোর সরকার তরফে সে সময় মাত্র ৬৪ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মৃত্যুর নতুন এ হিসাব আগে ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি।
ওই ঝড়ে মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্রায় এক বছরের বিতর্কের পর পুয়ের্তো রিকো সরকার জানিয়েছে, নতুন এ সংখ্যাকে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।
পুয়ের্তো রিকোর গভর্নর রিকার্ডো রোসেলো দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের এ হিসাব গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে ২ হাজার ৯৭৫ জনের প্রাণহানির এই হিসাব গ্রহণ করার নির্দেশ দিচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদিও এটি একটি হিসাব, তবে এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে।’
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রাণহানির বিষয়ে পূর্ণ জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার’ যে উদ্যোগ গভর্নর নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার তা সমর্থন করছে।
মারিয়ার ওই আঘাতের পর পুয়ের্তো রিকো সরকার সৃষ্ট বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত সংস্কার এবং বিদ্যুত লাইন মেরামতের কাজ শেষ হয়নি এখনো। পূনর্গঠন কাজে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে ১৩৯ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে তারা।
প্রায় একশ’ বছরের মধ্যে ওই এলাকায় আঘাত হানা ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় মারিয়ায় প্রাণহানির বিষয়ে সঠিক তথ্য না দেওয়ায় প্রায় এক বছর ধরে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল কর্তৃপক্ষকে।
মঙ্গলবারের ঘোষণার আগ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৪ জন। তবে দ্বীপটির প্রায় সবারই ধারণা ছিল যে নিহতের সংখ্যা সম্ভবত আরও অনেক বেশি হবে। আর মারিয়োর আঘাত হানার কিছুদিন পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তদন্তে নিহতের সংখ্যা ৪,৬০০ জনের মতো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।