জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি :
ভৈরব সীলগালা তালা ভাঙ্গার অপরাধে ১০ শ্রমিকসহ খাদ্য গুদামের পরিদর্শক কামরুল হাসানকে আটক করা হয়। ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজ রোববার সন্ধ্যায় তাদেরকে খাদ্য গুদাম থেকে পুলিশ দিয়ে আটক করেন। ভৈরব সরকারি খাদ্য গুদামের পরিদর্শক কামরুল হাসানসহ আটককৃত শ্রমিকরা হলো গুদামের সরদার আবদুস সালাম, শ্রমিক ফরিদ মিয়া, সোহরাব হোসেন, তাজুল ইসলাম, মিটন, মহন মিয়া আঃ হান্নান, , লোকমান হোসেন, বরজু মিয়া ও রউফ মিয়া। এসময় খাদ্য বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভির হোসেন তার সাথে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে আটক করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুনরায় গুদামটি সীলগালা করে দেন। আটককৃতরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
জানা গেছে গতকাল শনিবার বিকেলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহা – পরিচালক ( ডিজি) মোঃ সারোয়ার মাহমুদ ভৈরব খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করতে আসেন। এসময় তিনি ২ ও ৩ নাম্বার গুদামে চালের মজুত কম সন্দেহ করে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক কামরুল হাসানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। এসব দেখার পর তিনি ২ ও ৩ নাম্বার গুদাম সীলগালা করে ঢাকায় চলে যান।
আজ বিকেলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিদের্শে ভৈরব উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা ভৈরব বাজাররস্থ খাদ্য গুদামে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন মহাপরিচালকের সীলগালা করা ৩ নাম্বার গুদামটির দরজা খোলা এবং গুদামের ভিতর ঠিকাদাররের শ্রমিকরা বস্তার সারি নাড়াচারা করছে।
পরে তিনি তখনই ঢাকায় মহাপরিচালককে মোবাইলে ঘটনা অবহিত করেন। তারপর মহা – পরিচালকের নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা ও পরিদর্শকসহ ১০ শ্রমিককে আটক করেন।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে গুদামে গিয়ে ৩ নাম্বার গুদামের সীলগালা ভাংগা পায় এবং শ্রমিকরা গুদামের ভিতর কাজ করছিল। মহা পরিচালকের সীলগালা খাদ্য গুদামের পরিদর্শক অনুমতি ছাড়া ভাঙ্গতে পারেনা। একারনে আমি পরিদর্শকসহ ১০ শ্রমিককে আটক করেছি। বিষয়টি খাদ্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।