মো: রফিকুল ইসলাম রুবেল :
ভৈরবে দাঁতের ভুয়া চিকিৎসক ও মামলার আসামী ফারজানা ওরফে আক্তার কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতারকৃত কে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহিন মিয়া । গত (২০ অক্টোবর) রোববার ইতালি প্রবাসী হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে শামীমার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় প্রতারণার ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর দীর্ঘদিনফারজানা পলাতক ছিলো। গতকাল শনিবার গোপনে বাসষ্ট্যান্ড তার চেম্বারে বাহির থেকে সাটার লাগিয়ে ভিতরে রোগীর চিকিৎসা করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মামলার বিবরণে জানা যায়, হাবিবুর রহমান ইতালি থেকে দেশে ফিরে নাফিসা ডেন্টাল ক্লিনিকের দন্ত চিকিৎসক ফারজানা ওরফে শামিমা আক্তারের কাছে ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা নেন। কিন্ত চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা করে তার দাতেঁর উপরের পাটির মাড়ি এবং ১৪ টি দাঁত কেটে ফেলেন। প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি যে তার দাতঁ ও মাড়ির এত বড় ক্ষতি হয়েছে । চিকিৎসা নিয়ে তিনি ইতালি যাওযার ৪/৫ দিন পর দাঁতের প্রচন্ড ব্যথায় দেশে ফিরে ওই চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে চিকিৎসক প্রথমে আপোষ মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চিকিৎসক তার লোকজন কে দিয়ে মামলা রুজু না করতে নানাভাবে হুমকি – ধামকি দিচ্ছে । পরে সে ডেন্টাল সার্জন আবদুল্লাহ আল মাসুদের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জানতে পারেন। শামিমা কোন দন্ত চিকিৎসক নয় এবং ভুল চিকিৎসা করে দাতেঁর মাড়ি ও ১৪ টি দাতঁ কেটে ফেলায় সেগুলো চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে এবং এখানে আর চিকিৎসা চলবেনা। এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোঃ শাহিন মিয়া জানান প্রবাসী হাবিবুর রহমানের ১৪ টি দাঁত কেটে ফেলায় হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ফারজানা ওরফে শামিমা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় গতকাল তার চেম্বার থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।