স্থানীয় প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন রোববার সকালে রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। অবস্থা সংকটাপন্ন। স্যার আমাকে বাঁচান, আমি বাঁচতে চাই। এই কথাটাই শুধু বলছে। আমরাও সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। সাধারণত এ ধরনের রোগী বাঁচানো দুঃসাধ্যও।’
নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার পর একজন পরীক্ষার্থী নুসরাতকে বলে, তার এক বান্ধবীকে ছাদে নিয়ে মারধর করা হচ্ছে। এটা শুনে সে দ্রুত ছাদে যায়। এরপরই এ ঘটনা ঘটে। বোরকা পরা চারজনের মধ্যে একজনের নারীকণ্ঠ ছিল। ঘটনার পর তার বোন এসব কথা তাকে বলেছে বলে জানিয়েছেন।
মাহমুদুল হাসান আরো জানান, গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে রাফির শ্লীলতাহানি করেন। রাফি পরিবারকে জানালে তার মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অধ্যক্ষ এখনো গ্রেপ্তার আছেন।
অধ্যক্ষকে আটকের পর থেকে তার লোকজন মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল বলে নোমান অভিযোগ করেন। শনিবার সকালে রাফি ওই মাদ্রাসাকেন্দ্রে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে যান।
সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ওই ছাত্রীর মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ মামলা করেন। পরে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’