জীবনযাপন

প্রেমের টানে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে

প্রেমের টানে সীমান্তের কাঁটাতারের বাধা পেরিয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় এসেছেন ভারতীয় তরুণী মঞ্জুরা বেগম  (২০)।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের (২৭) বাড়িতে আসেন এই তরুণী। এসে ধর্মীয় বিধানে বিয়েও করেছেন। কিন্তু তারপরও তাকে যেতে হয়েছে কারাগারে।

মঞ্জুরা বেগম ভারতের আসাম প্রদেশের কামরুক জেলার চাংসারি থানার টাপার পাথার গ্রামের মুগুর আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে একটি মামলার আসামি হয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের আসামে গিয়েছিলেন আব্দুস সাত্তার। সেখানে সাত্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় মঞ্জুরা বেগমের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বছরখানেক পর সাত্তার চলে আসে দেশে। এরপর সংসারের হাল ধরতে চলে যায় বাহরাইনে। তারপরও  মোবাইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক ঠিকে থাকে। ইদানিং মঞ্জুরা বেগমের বিয়ের জন্য প্রস্তাব আসতে থাকে। মঞ্জুরা এ সব জানায় বাহরাইনে অবস্থানরত সাত্তারকে। পরে মঞ্জুরাকে  বাড়ির ঠিকানা দেয় সাত্তার। সেই ঠিকানা ধরে বাংলাদেশে চলে আসে ওই তরুণী।

সাত্তারের  ছোট ভাই  ইমরান সীমান্ত থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে মঞ্জুরা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে বাহরাইনে অবস্থানরত সাত্তারের বিবাহ হয়।

কিন্তু কাঁটাতারের সীমানা বাধা হয়ে দাঁড়াল তাদের জীবনে। বিনা পাসপোর্টে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে বিজিবি আটক করে মঞ্জুরা বেগমকে। পরে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজির আলম। তিনি জানান, তরুণীর বিরুদ্ধে বিজিবি বাদী হয়ে বিনা পাসপোর্ট ও অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। ওই তরুণীকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *