নরসিংদী থেকে ফিরে রফিকুল ইসলাম রুবেলঃ নরসিংদীর রায়পুরা
মহেশখালী ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে মহান স্বাধীনতা দিবসে
ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসি ।
বর্তমানে এলাকায় আতঙ্ক ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে । যে কোন সময়
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের ।
আগামীকাল ২৬ শে মার্চ সারাদেশে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
হবে । কিন্ত ২৬ শে মার্চ থানাকান্দি গ্রামে একটি মহল দিনব্যাপী
ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করায় এক ধরনের ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে
স্থানীয়দের মাঝে ।
তবে জেলা প্রশাসন বলছে ওয়াজ মাহফিলের কোন অনুমতি নেয়নি ।
তবে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে । স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি
থানাকান্দি গ্রামে তাকওয়া তালবিয়া নামে নব নির্মিত মসজিদে
আহলে হাদিস পন্থীরা ওই মসজিদে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে
ধর্মীয় প্রার্থনাসহ ইবাদত বন্দেগী পালন করেন । কিন্ত গ্রামের অপর
একটি পক্ষ জোর করে কৌশলে তাদের মসজিদ দখল করে তারা তাদের নিযুক্ত
খতিব (ঈমাম ) নিয়োগ দিয়ে নামাজ পড়ায় । এতে উভয় পক্ষের মধ্যে
মতানৈক্য দেখা দিলে যুব উলামা পরিষদের শিবির ,স্থানীয় ইউপি পরিষদের
মেম্বার মেনু মিয়া ও হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয়রা মসজিদের
সাইনবোর্ড ভাংচুর করে মসজিদের কিতাব ও সিসি ক্যামেরা
ছিনিয়ে নিয়ে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এতে গ্রামের একাংশের
মুসল্লিরা ধর্মীয় ইবাদত প্রার্থনা থেকে বঞ্চিত হয় । পরে ১ সপ্তাহ পরে
এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে মসজিদের তালা খুলে দেয়া হয় ।
বর্তমানে মসজিদের সামনে আগামীকাল ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন
করায় আাবারো মসজিদে হামলা ও ভাংচুরসহ সংঘর্ষের আশঙ্কা
এলাকাবাসিদের ।
এ বিষয়ে তাকওয়া তালবিয়া মসজিদের খতিব হাফেজ তোফাজ্জল
হোসেন জানান, ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে ফের মসজিদে হামলা
চালিয়ে ভাংচুরসহ সংঘর্ষের আশঙ্কায় আমরা আতঙ্কে আছি ।
মসজিদের কোষাধ্যক্ষ মামুন মিয়া জানান, আমরা আমাদের মসজিদে
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে নামাজ আদায় করি । তাতে তাদের
সমস্যা কি । তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন ইউপি পরিষদের মেম্বার
মেনু মিয়া ও হাবিবুর রহমান ও যুব ওলামা পরিষদের সভাপতি শিবিরের
নেতৃত্বে স্থানীয়রা মসজিদের সাইনবোর্ড ভাংচুর করে মসজিদের
কিতাব ও সিসি ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়
। আবারো তারা ওয়াজ মাহফিলের নামে মসজিদে হামলাসহ সংঘর্ষ
চালাতে পারে । তাই আমরা প্রশাসনের নজরদারি ও নিরাপত্তা চাই ।
একই অভিযোগ করেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফ
উদ্দিন আসাদ ।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মেনু মিয়া ও হাবিবুর রহমান
মসজিদে তালা দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় ২টি পক্ষ হওয়ায়
মসজিদে তালা দেয়া হয়েছে এবং কিতাব সরিয়ে ফেলা হয়েছে । তবে
ধর্মীয় ফ্যাৎনা দূর করার জন্য কাল ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে
। তাদেরকে ওয়াজের মাধ্যমে বুঝিয়ে সঠিক পথে আনার জন্য । এখানে
কোন প্রকার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই । কারন ইসলাম
শান্তির ধর্ম । আমরা চাই সবাই সঠিক পথে শান্তির পথে আসুক ।
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নাইম মোঃ মারুফ খান
জানান, ওয়াজ মাহফিল পড়ানোর জন্য কোন অনুমতি নেয়নি । এ বিষয়ে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।