অপরাধ

নরসিংদীতে প্রতারক চক্রের প্রায় ০৩ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা, থানায় মামলা, প্রাণ নাশের হুমকি

স্টাফ রির্পোটার:
নরসিংদী জেলা সদরের আলহাজ্ব আতাউর রহমান, জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৬৮২৬০১৩৬৪৯২৩৬, পিতা- মৃত মোমতাজ উদ্দিন চেয়ারম্যান, সুইডেন বাংলা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সুইডেন ভিলা, বানিয়াচং, পোঃ- নরসিংদী, নরসিংদী সদর, নরসিংদী আতাউর রহমানের ভাই মতিউর রহমানের নিকট প্রতারনার উদ্দেশ্যে ম্যানচেষ্টার কম্পোজিট টেক্সাইল মিলস লিঃ এর মালিক ও পরিচালক হিসেবে পরিচয় দেয়। পরিচয় দাতারা মোছাঃ সুলতানা খাতুন (৫৭), পিতা- ফয়জুদ্দিন সরকার, এস.এম. সানিয়েল আরফিন, পিতা- মৃত আমজাদ হোসেন, মাহমুদুল আরেফিন ভূঁইয়া, পিতা- মৃত আমজাদ হোসেন ভূইয়া, মাহমুদা তাইরান (৩৪), পিতা- মৃত আমজাদ হোসেন ভূইয়া, মার্সেলা সুইটি হালদার (৩৫), স্বামী- এস.এম. সানিয়েল আরফিন সর্বসাং- ১২৮/১, চৌয়ালা, থানা ও জেলা- নরসিংদীদ্বয় পূর্ব হইতে বাদী আতাউর রহমানের পরিচিত। এরা প্রতারনার উদ্দেশ্যে আতাউর রহমানকে ২৫% ও মতিউর রহমানকে ৫% মালিকানার শেয়ার বিক্রি করবে মর্মে প্রস্তাব প্রদান করে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের ৩০% মালিকানা আতাউর রহমান ও মতিউর রহমান নিজে শেয়ার ক্রয় করবে বলে স্বীকার করে। এসময় মোঃ মঈনুল ইসলাম (৩৮), পিতা- সফিকুল ইসলাম, সাং- ৮৩ আরজত পাড়া, থানা- তেজগাঁও, জেলা- ঢাকা-১২১৫। মোঃ কাউছার মিয়া, পিতা- মৃত আব্দুল রহিম মিয়া, সাং- চৌয়ালা, থানা ও জেলা- নরসিংদী। মঈনুল ও কাউছার উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্ররিচালক দাবি করে প্রতারনা করে।

পরবর্তীতে আতাউর রহমান জানতে পারে আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্রয়ের নামে প্রতারনা করছে। গত ০৪/০৮/২০১৯ইং তারিখে চৌয়ালা সাকিনে এস.এম. সানিয়েল আরফিনের বশতঃ বাড়ীতে সকল প্রতারকের উপস্থিতিতে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা প্রদান করে। পর্যায় ক্রমে ০৩টি ব্যাক্তিগত চেকের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখে এস.এম. সানিয়েল আরফিনের বরাবরে ১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে। সকল টাকা প্রদান করার পরেও উক্ত প্রতিষ্ঠানের আতাউর রহমান ২৫% ও মতিউর রহমানের ৫% মোট ৩০% মালিকানা শেয়ার বুঝাইয়া দেয় নাই। কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হইলেও প্রতারক চক্র আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানের বরাবরে অর্থ হস্তান্তরের কোন পদক্ষেপ নেয় নাই। এস.এম. সানিয়েল আরফিনকে আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানের দেওয়া মোট অর্থ ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে এস.এম. সানিয়েল আরফিন টাকা ফেরত দিতে অনিহা পোষন করেন।

আলহাজ্ব আতাউর রহমান একজন নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, নিরহংকারী, সদালাপি, সাদা মনের মানুষ বটে। তাই প্রতারক চক্র তার সরলতার সুযোগ নিয়ে কৌশলে মার্সেলা সুইটি হাওলাদার, মঈনুল ইসলাম পক্ষভূক্ত হইয়া সকল প্রতারক চক্রের যোগসাজসে আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানের অর্থ আত্মসাতের পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানকে শেয়ারের মালিকানা বুঝাইয়া দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে ১২/১১/২০২০ইং তারিখে উক্ত প্রতারক চক্রের বরাবরে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে। লিগ্যাল নোটিশের কোন জবাব না দিয়ে, ম্যানচেষ্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের ৩০% মালিক আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানের কোন সই স্বাক্ষর না নিয়ে নরসিংদী সাব রেজিষ্টার অফিসে দলিল নং ১৩৯৭৯/২০ মূলে একটি দলিল সৃষ্টি করে। আতাউর রহমান ও মতিউর রহমান উক্ত মিলের ৩০% মালিক বিধায় দলিলটি অবৈধ। এস.এম. সানিয়েল আরফিন উক্ত মিলটি আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানকে না জানিয়ে অন্যত্র হস্তান্তর করেন। এ ব্যাপারে আতাউর রহমান বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। মামলার আসামীরা হলো- ১। মোছাঃ আরেফিন সুলতানা খাতুন (৫৭), স্বামী- মৃত আমজাদ হোসেন ভূইয়া, ২। এস.এম. সানিয়েল আরফিন, পিতা- মৃত আমজাদ হোসেন ভূইয়া, ৩। মাহমুদুল আরেফিন ভূইয়া (৩৮), পিতা- মৃত আমজাদ হোসেন ভূইয়া ৪। মাহমুদা তাইরান (৩৪), পিতা- মৃত আমজাদ হোসেন ভূইয়া, ৫। মার্সেলা সুইটি হালদার (৩৫), স্বামী- এস.এম. সানিয়েল আরফিন, সর্বসাং- ১২৮/১, চৌয়ালা, থানা ও জেলা- নরসিংদী, ৬। মঈনুল ইসলাম (৩৮), পিতা- সফিকুল ইসলাম, সাং- ৮৩ আরজত পাড়া, থানা- তেজগাঁও, জেলা- ঢাক- ১২১৫, ৭। কাউছার মিয়া (৩৫), পিতা- মৃত আব্দুর রহিম, নরসিংদী থানার মামলা নং- ৩২, তারিখ ১৯/০৮/২০২১ইং উক্ত মামলাটি চলমান।

এব্যাপারে আতাউর রহমান বলে ০২নং আসামী আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য হওয়ায় সে মুঠো ফোনে আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানকে থানা হইতে মামলা উঠিয়ে না নিলে যে কোন মিথ্যা মামলায় ফাসানো হবে অথবা অপহরন করে, খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুংকার করে। আশে পাশে বসবাস করা লোকজনদের কাছ থেকে জানা যায় ইতি পূর্বেও এস.এম. সানিয়েল আরফিনসহ প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ রহিয়াছে বলে প্রতিবেদককে জানায়।

এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা এস.এম. সানিয়েল আরফিন আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের লোক বলে এস.এম. সানিয়েল আরফিনের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি। এস.এম. সানিয়েল আরফিনের হুকুমে এই প্রতারক চক্র প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ঠকবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে সাধারণ ভূক্তভোগী মানুষ কবে মুক্তি পাবে তা জানে না কেউ। আলহাজ্ব আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানের অর্থ এবং প্রাণ বাচাতে আইনের আশ্রয় চায়। এব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদেরকে জানায় আতাউর রহমান ও মতিউর রহমানকে সব ধরনের আইনী সহায়তা প্রদান করা হইবে। এ ব্যাপারে এস.এম. সানিয়েল আরফিনের সাথে মুঠো ফোনে অর্থ আত্মসাতের কথা জানতে চাইলে, সাংবাদিকদের সাথে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *