জাতীয়

নরসিংদীতে এই জেলার অধিকাংশ বোরে ক্ষেতের ফসলী জমিতে সার ছিটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষক

রাজু মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার: ফসল উৎপাদনের জন্য নাইট্রোজেন (ইউরিয়া) সার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যা ব্যবহার না করলে ফসলের কাঙ্খিত পরিমাণ ফলন পাওয়া অসম্বভ।

চলতি বোরো মৌসুমে নরসিংদী জেলার প্রায় ছয়টি উপজেলা ও ৭২ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম গুলোতে কৃষকরা বোরো খেতে প্রয়োজনীয় সার, ফসফেট, পটাশ ও ছাই মিশিয়ে দিচ্ছে।
এতেকরে এই বোরো খেতের গুছাগুলিতে বিভিন্ন পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি হয়। পাশাপাশি হাত দিয়ে ছিটিয়ে দিলে সারা খেতেই ছড়িয়ে যায় বলে বলেন এই কৃষক।
এদিকে রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চর মরজাল গ্রামের কৃষক মোঃ হাসান উদ্দিন (৫৫) বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবত বাব দাদার প্রকৃত সম্পদে আমরা বিভিন্ন চাষাবাদ করে আসছি।
তাই আজ বুধবার সকালে ঘুম থেকে এসে দেখি আমার খেতে প্রয়োজনীয় লায়েক না থাকায় আংশিক কিছুটা কালো দেখা যাচ্ছে প্রতিটি চারার গোড়া।
তাই শিবপুর বাজার থেকে ১০ কেজি সার ৪ কেজি পটাশ ৮ কেজি পরিমাণ ছাই মিশিয়ে খেতে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এই জেলার মাঠে মাঠে এখন চলছে কৃষকের বোরো ক্ষেতের পরিচর্যার ব্যস্ততা। শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে এ এলাকার কৃষকরা এখন কোমর বেঁধে ক্ষেতে নেমেছেন। এদিকে ফলন ভালো পেতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।
কলের লাঙল দিয়ে মাটি চাষ করে তৈরি করে ক্ষেত লাগানোর পরপরই চারাগুলো কিছুটা সবুজ রং হওয়ার পরই ভালো ফলনের আশায় লায়েক দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জমিতে সার দেওয়া শেষে হাত ধুয়ে কৃষক জমির পাশে বসে কেমন হবে এই ক্ষেতের ফলন সেটাই ভাবছে।
এই জেলার কৃষি অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায় যে, এই জেলায় ৪৫% কৃষক এখন বোরো চাষে ব্যস্ত। তাই মাঠপর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা।
শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় সেচ পাম্প থেকে পানি নিচ্ছেন চাষিরা। আবার কোথাও সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা হচ্ছে ধানচারা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা। ধান উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেলেও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ধানের উৎপাদিত ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান কৃষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *