জাতীয়

দেশের মানুষের ভালোবাসাই আমার শক্তি ও অনুপ্রেরণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ভালো কাজ থেকে বিরত রাখা যাবে না। লাখো মানুষের ভালোবাসা, দোয়া আমার সাথে আছে। এই ভালোবাসা আমার বড় শক্তি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে বুধবার রাতে রাইজিংবিডির সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার নামের ভুয়া অ্যাকাউন্টে হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে খারাপ কমেন্টের ছবি তুলে মামলা করলেন। ওই ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে আমি দেড় মাস আগেই জিডি করে রেখেছি। শুধু তাই নয় পুলিশের সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে ওই জিডির কপি ও চিঠি মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিটিআরসির কর্মকর্তাদের দিয়ে রাখা হয়েছে।

‘যারা মামলা করেছেন ওনারা ভালো করেই জানেন আমি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর। আমি সামাজিক কাজ করি। সাধারণ মানুষের সাথে, হিন্দু, মুসলমান সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। আমার বিষয়ে মামলা করতে গেলে আরো একটু তথ্য যাচাই-বাছাই করে মামলা করা উচিত ছিল।’

 

মামলা নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার প্রতি সাধারণ মানুষের যে ভালোবাসা দেখেছি অবাক হয়েছি। ঢাবির ছাত্র থেকে শুরু করে সব পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করেছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অভিভূত হয়েছি, প্রতিবন্ধীরা পর্যন্ত আমার জন্য রাস্তায় নেমেছেন। সাধারণ মানুষের এই ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি বিশ্বাস করি সৎ থাকলে শেষ পর্যন্ত আমিই সম্মানিত হব।

মানুষের পক্ষে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বললে বিপদে পড়তে হয়। আমি মনে করি আমার জীবনও এত সহজ হবে না। প্রতিটি পদক্ষেপে বিভিন্ন বাধা আসবে। আমি ভীতু নই।

ফেসবুক ফলোয়ারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শুধু আমি ব্যারিস্টার সুমন নই, ভালো কাজ করার জন্য কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়, নির্যাতন হয়, আপনারা একসাথে থাকবেন, প্রতিবাদ করবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে গৌতম কুমার এডবর বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ সালের ২৫, ২৮ ও ২৯ সাইবার ধারায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে আদালতে মামলাটি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *