জয়না
ট্রেনের কেবিন বুক করে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে ভৈরবে মায়নুল ইসলাম (৩২) নামে এক পাচারকারিকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেল সোয়া পাছঁটার সময় তাকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে আটক করা হয়। মায়নুলের সাথে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ তল্লাশি করে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ জব্ধ করা হয়।
মায়নুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফেরদাউস আহাম্মদ জানায়, সিলেট থেকে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা ট্রেনে কর্তব্যরত কুলাউড়া রেলওয়ে থানার কনষ্টবল নাঈম মিয়া সহ আরো দুজন ট্রেনে ডিউটি করছিল। ডিউটি করা কালিন সময়ে ট্রেনের খ বগিতে ( কেবিন ) এ একা দেখে মায়নুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ব্যাগে কি আছে। মায়নুল পুলিশ দেখে ঘামতে শুরু করে কোন উত্তর না দিয়ে। তখন কনষ্টবল নাঈমের সন্দেহ হলে মায়নুলকে আটক করে। এ সময় ট্রেনটি ভৈরব ষ্টেশন অতিক্রম করছিল। ভৈরব ষ্টেশনের অদুরে ট্রেনটি ধীরগতি হলে কনষ্টবল নাঈম মিয়া মায়নুল ইসলামকে নিয়ে ট্রেন খেকে নেমে ভৈরব রেলওয়ে থানায় খবর দেয়। মায়নুলকে আটকের সময় তাকে সহযোগিতা করেন তার সাথে থাকা আরো দুজন সহর্কী। খবর পেয়ে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মায়নুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় এসে মায়নুলের সাথে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ তল্লাশি করে তা থেকে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় আটকৃত মায়নুলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ।
অটককৃত মায়নুল বলেন, সে ইডিপূর্বে ইরাকে একটি কোম্পানীতে কাজ করত। করোনার কিছুদিন আগে দেশেআসার তার আর ইরাকে যাওয়া হয়নি। সে আট হাজার ঠাকা দরে গাজা কিনে ঢাকায় নিয়ে পনের হাজার টাকা দরে বিক্রি করে থাকে। আজ সে আজমপুর রেলষ্টেশন থেকে একটি কেবির ভাড়া করে গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিল ঢাকায়। তার ধারণা ছিল ট্রেনে কেবিন বুক করে নিলে হয়তো পুলিশ ওই বগিতে যাবেনা তাই কেবিন বুক করা হয়েছিল।