রাজনীতি

টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কর্তৃক শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উদযাপন

জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উদযাপিত হয়েছে। শনিবার রাতে ভৈরব বাজারের জামে মসজিদ মার্কেটের তৃতীয় তলায় সংগঠনের কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্র্মী অংশ নেন।

সংগঠনের সভাপতি ও যমুনা টেলিভিশনের ভৈরব প্রতিনিধি মো: আসাদুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতার মাধ্যমে অমর শহীদদের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।

পরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজ আমিনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও এটিএন বাংলা/ এটিএন নিউজের ভৈরব প্রতিনিধি মো: তুহিন মোল­া, দৈনিক প্রথম আলোর ভৈরব অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক মো: সুমন মোল­া, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য ও বাংলাভিশনের ভৈরব প্রতিনিধি অধ্যাপক সত্যজিৎ দাস ধ্র“ব, সরকারী জিল­ুর রহমান মহিলা কলেজের প্রভাষক মো: সাইফুল ইসলাম সেকুল, চ্যানেল ২৪ প্রতিনিধি ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: বিল­াল হোসেন মোল­া, দৈনিক আজকালের খবরের প্রতিনিধি কাজী আব্দুল­াহ আল মাসুম।

সংগঠনের নির্বাহী সদস্য ও মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি ওয়াহিদা আমিন পলি, দপ্তর সম্পাদক ও চ্যানেল এস প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন রিটন, কোষাধক্ষ ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি হাজী সজীব আহমেদ, নির্বাহী সদস্য ও আরটিভির প্রতিনিধি মো: আল আমিন টিটু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মাইটিভির ভৈরব প্রতিনিধি মো: শাহনূর, সদস্য ও একাত্তর টেভিশনের প্রতিনিধি ফজলুল হক বাবু, দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিনিধি রাজিবুল হাসান, স্থানীয় দৈনিক পূর্বকণ্ঠের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মিলাদ হোসেন অপু প্রমূখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলসামস্ বাহিনী ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তাদের পরাজয় নিশ্চিত জানার পর, বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার দুইদিন আগে এই নারকীয় হত্যাকান্ড চালায়। তারা বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবিদের নির্মমভাবে হত্যা করে। যাদের মধ্যে আজও অনেকের লাশ খোঁজে পাওয়া যায়নি। স্বজন হারানো ব্যথা-যন্ত্রনা নিয়ে এখনও বহু পরিবার তাদের প্রিয়জনের লাশ খোঁজে।

তারা তালিকা করে দেশের সাংবাদিক, শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার, শিল্পী-গীতিকার, চিকিৎসকসহ মুক্ত চিন্তার ও মেধাবী লোকদের হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূণ্য ভঙ্গুর জাতিতে পরিণত করতে। যাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ে।

বক্তারা আরও বলেন, সেই নারকীয় হত্যাকান্ডের পরও স্বাধীন বাংলাদেশ যখন জাতির জনকের নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যায়, তখনই দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের হাতধরে পরাজিত শক্তি জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে। পরবর্তীতে নেতৃত্ব শূণ্য করতে বঙ্গবন্ধুর সহচর জাতীয় চার নেতাকে জেলের মধ্যে নির্মমভাবে হত্যা করে।

তারা আলোচনা সভা থেকে ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারীদের খোঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকারের কাছে দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *