মো: রফিকুল ইসলাম রুবেল:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রায় দুইশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ । ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে অবৈধভাবে নির্মিত স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ অফিস।১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর শহরের লক্ষীপুর এলাকায় এই অভিযান চলে। অভিযানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের এসেস্ট অফিসার ও ম্যাজিস্ট্যাট মোহাম্মদ শফিউল্লাহ। এসময় তাকে সহযোগীতা করেন ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জুলহাস হোসেন সৌরভ, রেলওয়ের কাননগু মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফেরদাউস আহাম্মদ বিশ্বাস ও পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা।অভিযানের সময় প্রায় দুইশত স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযান সূত্রে জানাযায়,ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রেলপথের রেলওয়ের লাইনের দুই পাশে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলেছে ।এতে করে ট্রেন চলাচলের সময় প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে। সেই কারণে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় স্থানীয়রা অভিযোগ করেন আমাদের লীজ করা জমির উপর স্থাপনা করেছি । হঠাৎ করে তারা এসে বলে কাল উচ্ছেদ করা হবে । এই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা কিছুই করতে পারি নাই। এতে করে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। ভৈরব পৌরসভার কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন মিন্টু বলেন, আমি কৃষি লীজ নিয়ে কয়েকটি ঘর নির্মান করেছিলাম। পরে বানিজ্যিক লীজ পেতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ লীজ এখনও দেয়নি। একারনে আজ আমার কয়েকটি ঘর ভেঙ্গে দেয়া হয়। এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের এসেস্ট অফিসার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, ভৈরব শহরের লক্ষীপুর এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ভৈরব কিশোরগঞ্জ রেলপথের রেলওয়ের লাইনের খুব নিকটে রেলওয়ের ভূমির ওপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে। এতে ট্রেন চলাচলের সময় প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এভাবে কেউ অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলতে পারেনা। একারণে আজ সকল অবৈধ স্থাপনা বুল ডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং প্রায় ৫ একর জমি দখলমুক্ত করি। তিনি আরো বলেন এসব জমি আবার কৃষি বা বানিজ্যিক ভাবে লূজ দেয়া হবে যাতে করে সরকার রাজস্ব পায়। রেলওয়ের জায়গা পুরোপুরি দখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।