জাতীয়

ভৈরবে ১০ টাকা কেজির ৯৬ বস্তা চাল গায়েব, অবৈধ মজুদকৃত ১৬০ বস্তা চাল উদ্ধারসহ ২ ব্যক্তিকে আটক করে র‌্যাব

মো: আশরাফ আলী বাবু,চীফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১০টাকা কেজির ৯৬ বস্তা চাল গায়েব ও ১৬০ বস্তা চাল অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগে ডিলারসহ ২ ব্যক্তিকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। গোপন সংবাদ পেয়ে বুধবার দিবাগত রাতে র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক এডিশনাল এসপি রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়েরের নেতৃত্বে শুম্ভুপুর রেলগেইট এলাকা থেকে শিবপুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার মিজানুর রহমানের সহযোগী কামরুল ইসলামের একটি গোডাউনে অসৎ উদ্দেশ্যে বিক্রয়ের জন্য মজুতকৃত ১৬০ বস্তা চাল উদ্ধারসহ শিবপুর ইউনিয়নের ডিলার মিজানুর রহামান (৪৭) ও সহযোগী কামরুল ইসলামকে (৬০) আটক করে র‌্যাব। আটককৃত মিজানের বাড়ি ছনছাড়া গ্রামে এবং সহযোগী কামরুলের বাড়ি শহরের লক্ষীপুর গ্রামে। ওই অভিযানে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সালের সহযোগিতা চাওয়া হলে রহস্যজনক কারণে র‌্যাবের ওই অভিযানে ইউএনও সাড়া না দেয়ায় নানা প্রশ্ন উঠে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গরীবদের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে বিক্রয়ের জন্য প্রতি ইউনিয়নে ২জন করে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে ২ জনের মধ্যে মিজানুর রহমান নামে একজন ডিলার রয়েছে। চলতি মাসের ৯ তারিখ ৩৭৬ বস্তা চাল ভৈরব খাদ্য গোডাউন থেকে উত্তোলন করার জন্য ওই ডিলারকে অনুমতি পত্র দেয় ভৈরব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসার মো: শরীফ মোল্লা। রহস্যজনক কারণে বরাদ্দকৃত ৩৭৬ বস্তা চালের মধ্যে ডিলার মিজানুর রহমান ১২০ বস্তা চাল উত্তোলন করে ছনছাড়ায় একটি গোডাউনে বিতরণের জন্য রাখেন এবং ওই ডিলারের সহযোগি কামরুল ইসলামের নামে খাদ্য গোডাউন থেকে ১৬০ বস্তা চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে গোপনে অন্য একটি গোডাউনে মজুদ রাখে। এরমধ্যে বাকী ৯৬ বস্তা চালের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ভৈরব খাদ্য নিয়স্ত্রণ অফিস ও খাদ্য গোডাউনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কালোবাজারে চাল, ধান বিক্রি করার অভিযোগ উঠে। র‌্যাবের হাতে আটক শিবপুর ইউনিয়নের অভিযুক্ত ডিলার মিজানুর রহমান বলেন, কামরুল ইসলাম সাব ডিলার হিসেবে কাজ করছে। বরাদ্দকৃত ৩৭৬ বস্তা চালের মধ্যে তার গোডাউনে ১২০ বস্তা ও কামরুলের অপর একটি গোডাউনে ১৬০ বস্তা চাল রাখা হয়। তবে ৭৬ বস্তা চাল কোথায় আছে জবাব দিতে পারেননি তিনি। আটককৃত অপর অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম বলেন, সে কোন ডিলার না। মিজান তার বন্ধু হওয়ায় তার গোডাউনে চাল মজুদ রাখা হয়। তিনি জানান শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: শফিকুল ইসলাম ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেই চাল গুলো এ গোডাউনে রাখতে বলেন। ইউএনও সাহেবের লিখিত অনুমতি নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *