জাতীয়

ভৈরবে আমন ধানের ফলন ভাল হলেও দাম নিয়ে হতাশ কৃষক

জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় অত্র অঞ্চলের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। তবে খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম অনেকটা কম। ধানের ফলন ভাল হলেও দাম নিয়ে হতাষ কৃষকরা। কৃষকদের দাবী সরকার যদি ধানের দামটা একটু বাড়িয়ে দেয় তাহলে খরছ পুশিয়ে কিছুটা লাভবান হতে পারবে কৃষকরা। ধানের দাম না বাড়ালে আগামীতে ধান চাষে আগ্রহ হারাবে কৃষকরা।

গত বছরের চেয়ে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেতগুলোতে তাকালে দেখা যায় বাতাসে দুলছে হলদে রংয়ের ধানের শীষ। কৃষকরা ধান কাটছেন উজ্জল হাসি মুখে। কৃষকরা এখন ব্যাস্ত সময় পার করছেন ধান কাটায়। কৃষি শ্রমিকদের মজুরী বেশি হওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই তাদের জমিতে কাস্তে হাতে ধান কাটতে শুরু করেছেন খরছ পুশিয়ে নিতে। কাঙ্খিত ফলন পেয়ে উজ্জল হাসি মুখে ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃণষকরা। এ যেন বিজয়ের হাসি ফুটে আছে কৃষকদের মূখে। তবে ধানের বাজার মূল্য কম । প্রতি মন ধানে খরছ পড়েছে কৃষকদের ৬ থেকে ৭ শত টাকা । আর প্রতি মন ধান বিক্রয় করতে পারে ৪ থেকে ৫শত টাকা। প্রতি বছরই ধান চাষ করে লোকশান গুনতে হয় বলে জানান ধান চাষীরা। ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে আগামীতে ধান চাষ করায় আগ্রহ থঅকবেনা কৃষকদের মাঝে। এ বছর ভৈরব উপজেলায় ২২৫০হেক্টর জমিতে ব্রিধান ৪৯ ও ধানি গোল্ড জাতের আমন ধান আবাদ করা হয়। এতে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫ টনেরও অধিক আমনের ফলন পাওয়া গেছে। আমন জাতের ধানের জন্য এটাই একমাত্র উচ্চ ফলনশীল ধান। এ জাতের ধানে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অনেক কম হয়। সময় মত পরিচর্যা, সেচ ও সার জমিতে ব্যবহার করা গেলে আগামীতে হেক্টর প্রতি ছয় থেকে সাড়ে ছয় টন ধানের ফলনও পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এমনটাই জানা যায় উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *