রিপোর্ট, মো: রফিকুল ইসলাম রুবেল!
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তর পাড়া গ্রামে বলাকী মোল্লার বাড়িতে ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সময়ে প্রখ্যাত আইনজীবী মেহের আলী মিয়া ও বাচ্চু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তিনি সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের জিএস ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সহচর জিল্লুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জের ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জিল্লুর রহমান ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার গঠিত হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর সহধর্মিণী মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি জামাত-জোট সরকারের আমলে দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে স্থানীয় সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। এ দিকে বর্ষিয়ান এই নেতার নিজ জন্মস্থান ভৈরবে তার প্রয়ানের দিন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি : সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুবার্ষিকীতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আজ সোমবার নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ভৈরব উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা যু্ব কমান্ড ভৈরব উপজেলা শাখা এসব কর্মসূচি পালন করবে। এদিকে ভৈরব বাসী দাবী বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানান, প্রয়াত এই নেতার অন্তিম ইচ্ছা ভৈরবে জেলা বাস্তবায়নেরও।