সমাধান ডেস্ক:
কিশােরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানাধীন ছয়সূতী ইউনিয়নের মধ্য লালপুর গ্রামের আড়িওয়ালা ও উমরা বাড়ীর বংশধর এর মধ্যে আম পাড়া নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ঝগড়া বড় আকার ধারণ করলে লিটন(৪০) নামে এক ব্যক্তি মারা যায়। এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানায় মৃত লিটনের ছেলে রাকিব বাদী হয়ে ৬জন নামসহ ৫০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে মামলা নং-১৩, তারিখ ১৭/০৪/২০২১। মামলার কথা জেনে আসামীগণসহ বাড়ীর মেয়ে ছেলে নিয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করেন। এ সুযোগে দুর্বৃৃত্বরা পর্যায়ক্রমে বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর, লুটপাটসহ প্রায় কয়েক কোটি টাকা মালামাল নিয়ে যায় এবং ক্ষতি সাধন করে বলে ভূক্তভােগীরা অভিযােগ করে। সরজমিনে দেখা যায় বসত বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর করে বসত বাড়িতে ডেঙ্গাসহ বিভিন্ন জাতের গাছপালা রােপন করছে। জমির ধান বাঁশঝাড় দুর্বৃৃত্বরা দল বেধে বাহিরের বিভিন্ন লােকের নিকট বিক্রি করে দিচ্ছে বলে বিবাদীপক্ষের লােকজনরা অভিযােগ করেন।
https://youtu.be/2MRG60fbLkw
উক্ত ঘটনাটি ভৈরব ও কুলিয়ারচর এর সীমানা ঘেসে অবস্থিত বিধায় ভৈরব ও কুলিয়ারচর থানায় ভুক্তভােগীরা অভিযােগ করলে থানা হইতে ঘটনাস্থলে প্রশাসনের লােক আসলে দূর্বিত্তরা দল বেধে বুজাচ্ছে এ গুলাে আগেরই ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। প্রশাসনের লােক চলে গেলে আবার ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের মহাউৎসব শুরু করে। নিহত লিটন মিয়ার পাশের বাড়ীর ১নং আসামী মিশ্রী মিয়া মেয়ের জামাই নেকবড় আলীসহ উমরাবাড়ীর বসত বাড়ীর ঘর দুর্বৃৃত্বরা প্রায় কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুটপাট এবং ক্ষতি সাধন করে। প্রকাশ থাকে যে, নিহত লিটন মিয়া কাঞ্জীবাড়ির বংশের লােক সে কোন বংশের লােকজনের আঘাতে মারা গেছে তা কেউ বলতে পারে না। আড্ডিবাড়ীর ও উমরাবাড়ীর ঝগড়া নিহত লিটন মিয়া আড্ডি বাড়ির জামাই হিসাবে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উমরাবাড়ীর লােকজনকে ডালাও ভাবে আসামী করছে বলে বিবাদী দলের লােকজন অভিযােগ করেন। এ ব্যাপারে ভূক্তভােগীগণ সংশিষ্টি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছে।