খেলা ফুটবল রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৮

ফিফার বর্ষসেরাদের তালিকায় জায়গা হয়নি নেইমারের

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ক্রীড়া ডেস্ক : ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার প্রদান করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনে। তার আগে মঙ্গলবার ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। পাশাপাশি উন্মুক্ত করেছে ভোট দেওয়ার সুযোগটিও। ২৪ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও ভক্তরা ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে তাদের পছন্দের খেলোয়াড়কে ভোট দিতে পারবেন।

ফিফা যে ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে সেই তালিকায় স্থান পাননি ব্রাজিলের সেনসেশান নেইমার দ্য সিলভা। তবে স্থান পেয়েছেন তার পিএসজি সতীর্থ বিশ্বকাপ জয়ী তরুণ তুর্কি ফ্রান্সের কালিয়ান এমবাপে। তার সঙ্গে ফ্রান্স থেকে পেয়েছেন অ্যান্তোনিও গ্রিজমান ও রাফায়েল ভারানে। বেলজিয়াম থেকে পেয়েছেন ইডেন হ্যাজার্ড ও কেভিন ডি ব্রুইন। ক্রোয়েশিয়া থেকে পেয়েছেন লুকা মদ্রিচ। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ী হ্যারি কেন। মিশরের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সালাহ আছেন। এ ছাড়া আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি ও পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো আছেনই।

দশজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা :
১. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল ও রিয়াল মাদ্রিদ)
২. কেভিন ডি ব্রুইন (বেলজিয়াম ও ম্যানচেস্টার সিটি)
৩. অ্যান্তোনিও গ্রিজমান (ফ্রান্স ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
৪. ইডেন হ্যাজার্ড (বেলজিয়াম ও চেলসি)
৫. হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড ও টটেনহ্যাম হটসপার)
৬. কালিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স ও পিএসজি)
৭. লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনা)
৮. লুকা মদ্রিচ (ক্রোয়েশিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদ)
৯. মোহাম্মদ সালাহ (মিশর ও লিভারপুল)
১০. রাফায়েল ভারানে (ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ)।

এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তিনি রিয়ালের হয়ে টানা তিনটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন। জিতেছেন উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা। চ্যাম্পিয়নস লিগের গেল আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি (১৫ গোল)। ক্লাবের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় করেছেন ৪৪টির গোল। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই করেছেন হ্যাটট্রিক। শেষ ষোলো পর্যন্ত করেছেন যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ গোল। সব মিলিয়ে অন্যদের চেয়ে তিনি এগিয়ে থাকবেন।

তার কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারেন রিয়ালের প্রাক্তন সতীর্থ লুকা মদ্রিচ ও রাফায়েল ভারানে। রোনালদোর সঙ্গে তারা দুজনও চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। তার সঙ্গে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন ভারানে। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছেন মদ্রিচ। হয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় (গোল্ডেন বল জিতেছেন)। সে কারণে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে ভারানে ও মদ্রিচ ভালোভাবেই আছেন।

ফ্রান্সের কালিয়ান এমবাপের হাতেও ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে এই পুরস্কারটি। তিনি ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। জিতেছেন বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ১৯৫৮ সালে করা কিংবদন্তি পেলের পর দ্বিতীয় কোনো কিশোর ফুটবলার হিসেবে ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এমবাপে। ফাইনালেসহ মোট ৪টি গোল করেছেন তিনি। পিএসজির হয়ে জিতেছেন একাধিক শিরোপা। গোলও পেয়েছেন উল্লেখযোগ্য। সুতরাং তিনিও এই পুরস্কার জয়ের দাবি রাখেন।

লিওনেল মেসি রাশিয়ায় খুব বেশি ভালো করতে না পারলেও ক্লাবের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন। লা লিগার শিরোপা জিতেছেন। জিতেছেন কোপা দেল রের শিরোপা। ৩৪ গোল করে হয়েছেন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা। জিতেছেন গোল্ডেন শ্যু-ও। তিনিও আছেন ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে।

হ্যারি কেন টটেনহ্যামের হয়ে এবার সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৪১টি গোল পেয়েছেন। হয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়ে তুলেছেন সেমিফাইনাল পর্যন্ত। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬টি গোল করে জিতেছেন গোল্ডেন বুট। সুতরাং তিনিও দাবিদার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার।

মোহাম্মদ সালাহও আছেন এই দৌড়ে। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভর করে লিভারপুল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছে। তিনি প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। লিভারপুলের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় করেছেন ৪৪ গোল। মিশরকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে তুলেছেন। একইভাবে অ্যান্তোনিও গ্রিজমান, অ্যান্তোনিও গ্রিজমান, ইডেন হ্যাজার্ড, লিওনেল মেসি প্রত্যেকের তাদের পারফরম্যান্স ও ক্লাবের হয়ে শিরোপা অর্জনের দিক দিয়ে দাবি রাখেন সেরা খেলোয়াড় হওয়ার।

কিন্তু দিনশেষে একজনের হাতেই উঠবে পুরস্কারটি। তিনি কে হন সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *