জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি :
হাড় কাপানো শীতে ভৈরব বাজারের অলি গলিতে শীত নিবারনের জন্য গরম কাপড় কিনতে নিম্নবিত্ত ও মধ্য আয়ের মানুষের রাস্তার পাশে ফুটপাতের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় । বেশির ভাগ শিশু ও কিশোরদের শীতের কাপড় কেনায় রাস্তার পাশে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভীড় লেগে আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন কিছুনি আগেও শীতের কাপড় বেচাকেনায় মন্দা ভাব ছিল। এখন শীত ঝেঁকে বসেছে তাই ক্রেতারা ভীড় করছেন শীতের কাপড় কেনায়। পৌষের শুরুতেই ঝেঁকে বসেছে প্রচন্ড শীত। আর এই শীত লাঘবে মানুষ ছুটে চলেছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। ভৈরব বাজারের পৌর নিউ মার্কেট থেকে শুরু করে শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে বাহারি রংয়ের শীতের পোশাক। কোট, জ্যাকেট, কম্বল , সুয়েটার,শালসহ নানা ধরনের শীতের পোশাক । এসকল পোষাক বেচাকেনা করতে দেখা যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। কিছু দিন যাবত শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা বেড়ে গেছে বলে জানালেন গরম কাপড় বিক্রেতা ব্যবসায়ীরা। তাদের প্রত্যাশা, আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেচাকেনা আরো বেড়ে যাবে। শীতকে কেন্দ্র করে বড় বড় শপিংমলগুলোর সংগে তাল মিলিয়ে বেচাবিক্রির ধুম চলছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। তাই নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি সচ্ছলরাও ভিড় করছেন এসব জায়গায়। অলিগলির ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এসব দোকানে রয়েছে নারী-পুরুষ ও শিশুদের শীতের পোশাক। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। ভৈরব বাজারের পৌর নিউ মার্কেট, ছবিঘর সপিং কমপ্লেক্স, হাবিব সুপার মার্কেট, মিতালী মার্কেট,টপ কালেকশান, সালাম প্লাজা, বিগ বাজার, হকার মার্কেটের দোকানগুলোতে ব্ল্যাজার,কোট, জ্যাকেট, ফুলহাতা শার্ট বিক্রির জন্য সাজিয়ে রেখেছৈন দোকানিরা। এসব দোকানে দেশে তৈরি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিদেশী ব্র্যান্ডের ব্ল্যাজার ও কোট রয়েছে। পৌর নিউ মার্কেটের অভিযাত দোকানগুলোতে ২ হাজার থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা দামের কোট ও ব্ল্যাজার রয়েছে। দোকানগুলোতে পুরুষের পোশাকের পাশাপাশি নারীদের জ্যাকেট, ব্ল্যাজারসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে ভাল। ভৈরব বাজারের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানগুলোতে কোট, জ্যাকেট, ব্ল্যাজার,সোয়েটার, কম্বল,শাল, চাঁদর শোভা পাচ্ছে চোঁখে পরার মত। সচ্ছল পরিবারের লোকজনদের দেখা যায় এসব দোকানগুলোতে কেনাকাটায় ভীড় করছে। এসব মার্কেটে কম্বলের দাম নির্ভর করে ছোট-বড় ,পাতলা-মোটার ওপর। ছোট বড় মোটা পাতলা এসব কম্ভল কেনা যাবে দুই থেকে দশ হাজার টাকার মধ্যে। এসব মার্কেটেও পাওয়া যাবে দেশীয় তাঁতের ও বিদেশ থেকে আমদানি করা চাদর। দাম পড়বে ৫ শ থেকে ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও এসব মার্কেটে শিশুদের জন্য এসেছে নানা ধরনের শীতের পোশাক। এসব পোশাকও কেনা যাবে ৫ শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। ফুটপাতের দোকানগুলোতেও বেচাবিক্রির ধুম চলছে। এসব দোকানগুলোতে ভীড় করছেন। শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এসব দোকানে রয়েছে নারী-পুরুষ ও শিশুদের শীতের পোশাক। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শিশু কিশোরদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। কম দামে কাপড় কেনা যায় বলে এ সকল দোকানগুলোতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজনদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষনীয়।