নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে যুবলীগের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল গলিতে টাইলস মার্কেট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তার সঙ্গে প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী ছিলেন। ৫০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের নির্বাচনী ক্যাম্পের কাছে এলে বিএনপির নেতাকর্মীদের স্লোগানের মাত্রা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মিছিল থেকে যুবলীগের নির্বাচনী ক্যাম্প লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। এ সময় ওই ক্যাম্পে যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী ছিলেন। ইট-পাটকেল নিক্ষেপের প্রতিবাদ জানালে বিএনপির নেতাকর্মীরা আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে।
হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের যুবলীগের নির্বাচনী প্রচারের সমন্বয়ক এমদাদুল হক এমদাদ।
তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিনা উস্কানিতে তারা হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলায় বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
আহতদের মধ্যে আছে—৫০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন, সাবেক সভাপতি ফকরুল ইসলাম মুরাদ, মো. জীবন, শেখ রুমান, জুয়েল হাওলাদার, জাকির হাওলাদার, কাওছার আহমেদ নিপু, মো. রাজীব, মো. জালাল, কাজল ও আলামিন।
হামলা সম্পর্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম রেজা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকা-৫ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর পক্ষে কাজ করছি। বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে যুবলীগের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। তারা নাটক সাজিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাচ্ছে। তাই পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছে। তারা জানে না, যুবলীগ প্রতিরোধ গড়লে বিএনপির প্রার্থী কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু আমরা তা করব না। নেতাদের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কিছুই করব না।’