জয়নাল আবেদীন রিটনঃ
দীর্ঘ মেয়াদী ফলন পেতে কিশোরগঞে।জর ভৈরবে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে সাড়া জাগিয়েছে কৃষক নজরুল ইসলাম। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী বন বেগুনের সঙ্গে গ্রাফটিং করে এই জাত উদ্ভাবন করেছেন তিনি। কালিকাপ্রসাদের মীরারচর নামক স্থানে তার দেড় বিঘা জমিতে এ টমেটো চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে প্রচুর। এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষে কৃষকের খরচ কম এবং শ্রম আর সময় দুটোই কম লাগে। এতে করে কৃষকরা লাভবান হয়। তাই দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ।
সরেজমিনে উদ্যোক্তা কৃষক নজরুল ইসলামের সাথে হলে তিনি জানান কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের মীরারচর গ্রামে তার দেড় বিঘা জমিতে বন বেগুনের সাথে গ্রাফটিং করে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করেছেন। গাছে ফলনও এসেছে প্রচুর। একেকটি গাছে ৮ থেকে ১০ কেজি টমেটোর ফলন আসবে। এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গাছকে রোগ-জীবাণু থেকে রক্ষা করে আর অতিরিক্ত পানি রোধ করে। তাছাড়া গাছের গোড়ায় আগাছা হয় না। এ ভাবে টমেটো চাষ করতে হলে প্রথমে জমি তৈরি করে মাটির সঙ্গে প্রয়োজন মতো সার মিশিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। বেডের প্রস্থ হবে এক মিটার। এক বেড থেকে আরেক বেডের দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার। এরপর জমিতে তৈরি করা সবকটি বেড মালচিং পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। তাহলে টমেটো গাছ থেকে প্রচুর ফলন পাওয়া যাবে। আর এর ফলনের স্থায়িত্বও হবে দীর্ঘ মেয়াদী ৬ থেকৈ ৮ মাস। সিজনলি টমেটো ফলন আসার পর দেড় থেকে ২ মাসের মধ্যেই ফলন শেষ হয়ে যায়। বন বেগুনের সঙ্গে গ্রাফটিং করে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করলে ৭ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। চারা গজানোর এক মাসের মধ্যেই ফলন আসতে শুরু করে। অসময়ে টমেটো বাজারে নিলে অধিক দাম পাওয়া যায় । তাই মালচিং পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ উপজেলায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম বলেন, মালচিং হলো এক ধরনের পলিথিন। যা চাষের পর জমির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গাছকে রোগ-জীবাণু থেকেও রক্ষা করে। অতিরিক্ত পানি রোধ করে এবং গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মায়না। এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে চাইলে জমি তৈরি করে মাটির সঙ্গে প্রয়োজন মতো সার মিশিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। বেডের প্রস্থ হতে হবে এক মিটার। এক বেড থেকে আরেক বেডের দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্তত। সব শেষে জমিতে তৈরি করা সবকটি বেড মালচিং পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বেডে চার ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ দিয়ে ছিদ্র করে ওই ছিদ্রে চারা রোপণ করতে হবে। দেখা যাবে ২ মাস পরই গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। আর ভালো ফলনও পাওয়া যাবে। দীর্ঘ মেয়াদী ফলন হলে অসময়ে টমেটো বাজারে নিলে অধিক দাম পাওয়া যাবে। এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করলে এতে কৃষকদের শ্রম, সময় ও অর্থ কম লাগবে।