জয়নাল আবেদীন রিটন , বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা-সিলেট রেল লাইনের ভৈরবে রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে অপরাধ মূলক কর্মককান্ড রোধ করতে রেল লাইনের দু পাশে ফেন্সিং ( নিরাপত্বা বেষ্টনি) নির্মান করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলপথে নিরাপদ যাত্রী ভ্রমন নিশ্চিত করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান রেলওয়ে সুত্র।
রেলওয়ে সুত্র আরো জানায়, ভৈরব রেল ষ্টেশকে আধুনিকায়ন করতে ষ্টেশনের উভয় দিকে আউটার সিগ্যান পর্যন্ত ফেন্সিং ( নিরাপত্বা বেষ্টনি) নির্মান করা হচ্ছে। এতে করে রেল লাইনের দু পাশে নিরাপত্বা বেষ্টনির ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তায় অনেকটা সহায়ক ও নিরাপদ হবে। পাশাপাশি রেল লাইনের মালামাল চুরি, নাশকতা, বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমন, চুরি ছিনতাই রোধে এ ফেন্সিং অপরাধ মূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধসহ যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন অনেকাংশে বেড়ে যাবে। ষ্টেশন এলাকায় বিনা প্রয়োজনে লোকজন রেল লাইন দিয়ে অবাধ হাটাচলা করতে পারবেনা। যাত্রীরা চুর ছিনতাইকারিদের হাত থেকেও নিরাপদ থাকবে। ট্রেনে ভ্রমরত যাত্রীদের তখন ষ্টেশনের মেইনগেট দিয়ে আসা যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। ফলে বিনা টিকেট রেল ভ্রমনে যাত্রী সাধারণ নিরুৎসাহিত হবে। এতে করে রেলওয়ের মালামাল রক্ষাসহ রেলওয়ের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।
¯া’নিয়রা বলেন, রেল লাইনের দুপাশে কাটা তাড়ের বেড়া নির্মান হলে স্থানিয়দের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হবে এবং কমলপুর ও নিউটাউন এলাকার লাশ দাফনে চরম, ভোগান্তি পোহাতে হবে।
সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী যীষান দত্ত বলেন, ভৈরব রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় বিভিন্ন রকমের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড রোধ করতে এবং বিনা টিকেটে যাত্রীদের নিরুৎসাহিত করতে রেল লাইনের দুপাশে ৫৮০ ফিট পর্যন্ত ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে। এতে করে এ লাকায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড অনেকোংশে কমে আসবে।
উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিথুন কুমার দাশ বলেন, ভৈরব ষ্টেশনের রেল লাইনের পুর্ব ও পশ্চিম দিকে ৫৮০ ফিট জুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি (ফেন্সিং) সসহ কাটা তাড়ের বেড়া তৈরি করা হচ্ছে। এই ফেন্সিং বেড়া রেলওয়ের নিরনাপত্তায় অনেকটা সহায়ক হবে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো ঃ ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস জানান, এই ফেন্সিং বেড়া নির্মান হলে ষ্টেশন এলাকায় চুরি ছিনতাইসহ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড কমে আসবে। রেল ভ্রমনে যাত্রী সাধারণ নিরাপদ থাকবে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ইন্সপেক্টর মোঃ এনায়েত করিম বলেন, লাইনের দুপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি দেওয়ার ফলে অপরাধিরা রেল লাইন দিয়ে অবাধে চলাফেরা করতে পারবেনা। রেলের মামলামাল সুরক্ষিত থাকবে। তাছাড়া মেইন গেইট দিয়ে যাতায়াত করার কারনে বিনা টিকিটে যাত্রী ভ্রমন রোধ হবে।