রাজনীতি

ভৈরবে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় বাসট্যান্ডস্থ নিউ টাউনের মোড়ে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব- কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ নাজমুল হাসান পাপনের সহধর্মিনী ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল্স এর পরিচালক রোকসানা হাসান।

এ সময় প্রধান অতিথি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন তার বক্তব্যে বলেন, আমি একাই একশ, আমার সরলতাকে, আমার দুর্বলতা ভাবা ঠিক না। যদি কোন রকম ষড়যন্ত্র হয় তাহলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। আমি ভৈরবের কোন মানুষের ক্ষতি করিনি। হোক সে যে কোন দলের।

বিএনপি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করে পরাজিত হয়ে ২১ আগস্ট বর্বোরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। সে দিন জননেত্রীর সাথে আমার আব্বাসহ বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আল্লাহর অশেষ রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমার আব্বা (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমান)সহ স্ট্যাজে থাকা নেতৃবৃন্দ বেঁচে যায়। ভাগ্য খারাপ থাকায় সেদিন আমার আম্মা (শহীদ বেগম আইভি রহমান) গ্রেনেড হামলায় আহত হয়।

সেদিন আমার আম্মা আহত হয়ে তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। আম্মার সাথে অনেকেই সেদিনের হামলায় মৃত্যুবরণ করেন ও অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করেন।

আজ আবার বিএনপি মাথাচারা দিয়েছে। বিদেশী চক্রান্তের সাথে হাত মিলিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে।এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। জনগণের সেবায় এ দল কাজ করে যাচ্ছে। কারো ক্ষতি আওয়ামী লীগ করে না। শেখ হাসিনার জন্য ভৈরবের মানুষের সাথে আমি যে কোন প্রয়োজনে যে কোন মুহুর্তে রাজপথে আছি, থাকব।

মানিকদী-কুলিয়ারচর জিল্লুর রহমান সেতু, ট্রমা সেন্টার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, হাজী আসমত কলেজ সরকারিকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। আগামী ১ বছরের ভিতরে ভৈরবে কোন রাস্তাঘাট ভাঙ্গা থাকবে না। ব্রীজ, কালভার্ট, ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করা হবে অচিরেই। ওই সকল কাজ শেষ করার পর নতুন করে কাজ করা হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌর শহরের প্রতিটি ইউনিয়নে আমি উপস্থিত হয়ে কার কি প্রয়োজন সে দাবী পুরণ করবো। রাজপথে নেমেছি আপনারা আগামী ৩ মাসের মধ্যে আমাকে নিয়মিত ভৈরবে পাবেন।
আপনারা তালিকা তৈরি করুণ সব দাবী আমি পুরণ করবো। বিএনপি’র মিথ্যাচারে বিশ্বাস না করে আওয়ামী লীগের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের উদাত্ত্ব আহ্বান জানান।

গণসমাবেশটি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. ইফতেখার হোসেন বেনু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা সোলায়মান, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান এর একান্ত সচিব লুৎফর রহমান ফুলু ও শাখাওয়াত উল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ প্রমূখ।

সমাবেশ সফল করতে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ একযোগে কাজ করেছে। তাই এমপি সকল কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হাইওয়ে রোডের পার্শ্বে
সমাবেশ করার কারণে দীর্ঘসময় যানজট লেগে ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *