মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
বাজার দর: দাম কমেছে পেঁয়াজ ও মুরগি ও সবজি।বেড়েছে তৈল ও মাছ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি, কাঁচা বাজার, মাছ, মাংস, তেল, ডালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। গত ২ -৩ ঈদের আগে পরে বাজার ভেদে মাছ, সবজি, গরুর মাংস, ডিম ও চিনির দাম স্থিতিশীল থাকলেও মুরগি ও পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা।গরুর মাংসের দাম আগের মত ৭০০ টাকা কেজিতে।
রবিবার (৮ মে) সরেজমিনে ভৈরব গাছতলা ঘাট এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৬৮০- ৭০০ টাকা কেজি, ডিম প্রতি হালি ৩৫-৩৬ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি, লাল শাক ১৫টাকা আটি, আলু ২০ টাকা কেজি, বরবটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ২০-২৫ টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি, মুসুর ডাল প্রকার ভেদে ১৭৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি, শসা ২০/২৫ টাকা, চিনি ৬৫-৭০, সয়াবিন তেল ২০০ থেকে ২০৫ টাকা কেজি। যা গত কয়েক দিন ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি গত দুই দিন আগে ১৯০টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। পাকিস্তানি মুরগি ২৪৫- ২৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২২৫-২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১৫- ২০ টাকা।
কাঁচা বাজার বা সবজির দাম বাড়েনি
পেঁয়াজ গতকাল বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কিন্তু আজ রবিবার (৮ মে) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা।
বাজার করতে আসা ভৈরবপুরএলাকার পল্লী চিকিৎসক বলেন, এই কয়দিনে কাঁচা বাজার বা সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি। তেলের দামটা কয়েকদিন ধরেই বেশি তবে হঠাৎ করে দেখলাম পেঁয়াজের দাম কমেছে।
কমলপুর কাচাবাজার সবজি দোকানদার বলেন, আজকে পেঁয়াজের দাম কমেছে। গতকালকেই দাম ছিল ৬০ টাকা কেজি, আজকে বিক্রি করছি৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
দাম কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আসছিল না, তাই দাম বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজকে থেকে দাম কমে গেছে। আমরা যেমন দামে কিনি সেভাবেই বিক্রি করি।
মুরগির মাংস ব্যাবসায়ী বলেন, বাজারে দামের কোনো ঠিক নাই। হঠাৎ করে বেড়ে যায় আবার হঠাৎ করেই কমে যায়। মালের সাপ্লাই বেশি থাকলে দাম কমে আর মালের সাপ্লাই কমে গেলে দাম একটু বেড়ে যায়। পাশাপাশি ফিড়ের দাম ও মুরগির বাচ্ছার দাম বেড়ে যাওয়ার এখন দাম একটু কমে বাড়ে। কয়দিন আগে তো ৩০০ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করেছি।
ভৈরব গাছতলাঘাট কাঁচা বাজার প্রতিবেশি কাশেম সাহেব বলেন, কাঁচা বাজারের দাম ঠিক আছে, কিন্তু কিছু কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে, আবার কমছেও। মাল যদি আড়তে ঠিক ভাবে আসে তাহলে দাম ঠিক থাকে। কয়েকদিন ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আসছিল না তাই দাম বেড়ে গিয়েছিলো তবে এখন মাল আছে তাই দামও একটু কম।
সকল চাউল, গরুর মাংশ ও মাছের দাম আগের মতই রয়ছে। সব মিলে নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাই ভুক্তভোগীরা জানান জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্যে সরকারের বিশেষ ভূমিকা একান্ত জুরুরী।
ভৈরবের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সোহাগ মিয়া জানান বাজার দর সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এইজন্য জনগন,ব্যবসায়ী ও সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।